Lakhpati Didi Yojana: লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ফেল! এবার মহিলাদের লাখপতি বানাতে নয়া পরিকল্পনা কেন্দ্রের

Lakhpati Didi Yojana is the new plan of the Central Govt to make women Lakhpati: কেন্দ্রীয় সরকার বরাবর দেশের জনগণের সুবিধার্থে নানা রকম কল্যাণমূলক প্রকল্প নিয়ে আসে। দেশকে আর্থিকভাবে শক্তিশালী করতে গেলে প্রত্যেকটি মানুষকেই অর্থনৈতিক দিক থেকে সাবলম্বী হতে হবে। সেক্ষেত্রে পুরুষদের পাশাপাশি মহিলাদের ও সমান অংশগ্রহণ প্রয়োজন। শুধুমাত্র দেশের পুরুষদেরই আর্থিক স্বচ্ছলতা আনার ক্ষমতা আছে এমনটা নয়, মেয়েরাও চাইলে বহু অসাধ্য সাধন ঘটাতে পারে। দেশের মহিলাদের অর্থনৈতিক দিক থেকে সাবলম্বী করার জন্য নরেন্দ্র মোদী নিয়ে এসেছেন এই পরিকল্পনাটি (Lakhpati Didi Yojana)। ইতিমধ্যে এই প্রকল্পের আওতায় চলে এসেছে দেশের প্রায় দুই কোটি মহিলা। আসুন আজকের প্রতিবেদনে জেনে নিই বিস্তারিতভাবে।

‘লাখপতি দিদি যোজনা’ (Lakhpati Didi Yojana) শুরু করার মূল উদ্দেশ্যই হলো দেশের মহিলাদের আর্থিক উন্নতি। দেশের বেশিরভাগ মহিলা যদি এই প্রকল্পের আওতায় চলে আসে তাহলে তারা হয়ে যাবে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী যা একটি দেশের পক্ষে সত্যি গর্বের। দেশের অর্থনৈতিক উন্নতির ক্ষেত্রেও এটি যথেষ্টই ভূমিকা পালন করবে। মহিলাদের দেওয়া হবে সঠিক প্রশিক্ষণ, তাই স্কিল ডেভেলপমেন্ট ট্রেনিং দিয়ে ২কোটি মহিলার ক্ষমতায়ন করার লক্ষ্য নিয়ে শুরু করা হবে এই প্রকল্পটি।

নিশ্চয়ই এতক্ষণে জানতে ইচ্ছে করছে আসলে কি এই প্রকল্প? এই প্রতিবেদনই আমরা প্রকল্পটির সম্পর্কে আলোচনা করে নেব। নয়া এই পরিকল্পনার প্রথম বাস্তবায়ন ঘটিয়েছিলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মা। তিনি মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়ার পরেই জয়সলমীরের শহিদ পুনম সিং স্টেডিয়ামে লাখপতি দিদি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেই অনুষ্ঠানে কিন্তু অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। তিনি স্বয়ং ঘোষণা করেছিলেন যে রাজস্থানের ১১.২৪ লাখ মহিলা লাখপতি দিদি প্রকল্পের (Lakhpati Didi Yojana) সুবিধা পাবেন। অবশ্য এর দ্বারা সুবিধা নিয়েছেন ৩ লাখ মহিলা। তার মধ্যে প্রায় ১৫০কোটি টাকার চেক বিতরণ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন 👉 Mamata Bandopadhyay: না পাওয়া বার্ধক্য ভাতা, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে এবার বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী মমতার

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০২৩ সালে স্বাধীনতা দিবসের দিন লালকেল্লার থেকে ‘লাখপতি দিদি’ (Lakhpati Didi Yojana) প্রকল্পর কথা ঘোষণা করেন। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে উপকার পাবেন প্রায় ১০ কোটি মহিলা। এই স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ‘ব্যাঙ্কওয়ালি দিদি’, ‘অঙ্গনওয়াড়ি দিদি’, ‘মেডিসিনওয়ালি দিদি’৷ দেশের মহিলাদের অর্থ উপার্জন করার মত দক্ষ করে তুলতে হবে। এই প্রকল্পের আওতায় যেসব স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি থাকবে তাদের মহিলারা LED বাল্ব, প্লাম্বিং, ড্রোন মেরামতের মতন প্রযুক্তিগত কাজের দ্বারাও স্বনির্ভর হয়ে উঠবে। এমনকি মোদির পরিকল্পনা অনুযায়ী দেশের মহিলারা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত দিক থেকেও উন্নত হবে। প্রথমে মহিলারা অনলাইন ফর্ম পূরণ করবেন তাহলে এই স্কিমের সুবিধা পাবেন। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সাথে যুক্ত মহিলারা এই প্রকল্পের দ্বারা সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবেন।

বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস গড়ে উঠবে। এছাড়া মহিলাদের দেওয়া হবে বীমা এবং ঋণ নেওয়ার সুযোগ। এই প্রকল্পটিতে আবেদন করতে গেলে অবশ্যই কিছু শর্ত আপনাকে পালন করতে হবে যেমন – আপনাকে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে, মহিলাদের অবশ্যই কোন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত থাকতে হবে৷ আবেদন করতে গেলে দিতে হবে আধার কার্ড, আয় এবং বসবাসের শংসাপত্র, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, মোবাইল নম্বর, পাসপোর্ট সাইজ ছবি।