সিউড়ির একটি বড় বিল্ডিংয়ে বড়সড় ফাটল, ঘটনায় চাঞ্চল্য

হিমাদ্রি মন্ডল : কলকাতায় মেট্রো প্রকল্পের কাজ চলাকালীন বিভিন্ন জায়গায় একের পর এক বাড়িতে বড়সড় ফাটল দেখা গিয়েছে। সেসব জায়গায় বড় বড় বাড়িতে ফাটলের কারণ হিসাবে মেট্রো প্রকল্পের কাজকেই দায়ী করা হচ্ছে, কিন্তু এরই মাঝে বীরভূমের সিউড়িতে রসরাজ বিল্ডিংয়ে আশ্চর্যজনকভাবে দেখা গেলো স্থান বিশেষে প্রায় ২-৪ ইঞ্চি ফাটল বিল্ডিংয়ের বিস্তীর্ণ দেওয়াল জুড়ে, ফাঁটলের ফলে বিল্ডিংয়ের নিচের দেওয়ালের অংশ সরে গেছে স্থান বিশেষে ২ থেকে ৬ ইঞ্চি পর্যন্ত। ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

বীরভূমের সিউড়ি বাসস্ট্যান্ডের কাছাকাছি পেট্রোল পাম্পের পাশে অবস্থিত এই বিল্ডিংটি। আজ হঠাৎ স্থানীয় বাসিন্দারা ওই বিল্ডিংয়ের দেওয়ালে এই বড় মাপের ফাটল দেখতে পান। তারপরই এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে ওঠেন। ঘটনার খবর পেলি সিউড়ি পৌরসভা এবং থানার কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান।

প্রসঙ্গত, ওই বিল্ডিংয়ে দুটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ছাড়াও রয়েছে এলআইসি জীবন বীমা অফিস, রয়েছে আরও কতকগুলি অফিস এবং দোকান। এমন ঘটনায় ইতিমধ্যেই ব্যাঙ্ক এবং জীবনবীমা অফিস কর্তৃপক্ষ আপাতকালীন ভাবে সমস্ত পরিষেবা বন্ধ রেখেছেন।

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, “বিল্ডিংটি এমনভাবে ফাটল ধরেছে, যাতে করে দেওয়াল অনেকটা সরে গেছে। যেকোনো সময় বিল্ডিংটি ধসে পড়ে যেতে পারে অথবা ভেঙে পড়তে পারে।”

ওই বিল্ডিং-এর মালিক অরূপ চ্যাটার্জি জানান, “বিল্ডিংয়ের এক দিকের দেওয়াল সরে গিয়েছে। আমি মিস্ত্রিকে বলেছি তারা এসে খুব তাড়াতাড়ি কাজ শুরু করে দেবে।”

পৌরসভার তরফ থেকে জানানো হয়, “বিল্ডিংয়ের মেন স্ট্রাকচারের সেরকম কিছু হয়েছে বলে মনে হচ্ছে না, তবে নিচের একটা দেওয়াল সরে গিয়েছে। যেহেতু ঘটনাটা এখনই ঘটেছে তাই ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানির আশঙ্কার কথা বলা সম্ভব নয়। তবে নিচের অংশ পুরাতন বলেই এমন ঘটনা ঘটেছে বলে মনে হচ্ছে। আমি পুরো বিষয়টি পৌরসভার চেয়ারম্যানকে জানাবো তারপর উনি যা পদক্ষেপ নেওয়ার নেবেন।”

চারতলা এই বিল্ডিংটি নিচের অংশ তাহলে কি পুরাতন দেখেই পরবর্তী অংশ করা হয়েছিল? এই মুহূর্তে সাধারণ মানুষদের মধ্যে এই প্রশ্ন জেগেছে। সাথে সাথে তাদের প্রশ্ন, কিভাবে এবং কেন ঝুঁকি রেখে তৈরি করা হয়েছিল বিল্ডিংটি।