২ বছর বয়সেই ঠোঁটস্থ ১০০টি ছড়া, রেকর্ড গড়লেন বীরভূমের একরত্তি

নিজস্ব প্রতিবেদন : যে বয়সে খুদেরা ঠিকঠাক কথা বলতে পারে না, ঠিকঠাক দৌঁড়াতে পারে না, সেই বয়সেই বীরভূমের একরত্তি নিজের নাম তুলে ফেলল ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডসে। এই বয়সে ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডসে নাম ওঠার পেছনে রয়েছে ওই একরত্তির প্রখর স্মৃতিশক্তি।

প্রখর স্মৃতি শক্তি সম্পন্ন বীরভূমের ওই একরত্তির বাড়ি হল শান্তিনিকেতনের ফুলডাঙ্গা আদিবাসী পাড়া। ওই একরত্তির নাম রাহি মুর্মু। তার বাবা অনিল মুর্মু এবং মা সুপর্ণা মান্ডি দুজনেই পেশায় শিক্ষক শিক্ষিকা। পেশার তাগিদেই তারা শান্তিনিকেতনে বসবাস করেন। তবে তাদের আসল বাড়ি হল পুরুলিয়া।

একরত্তি মাহি মুর্মুর বর্তমান বয়স ১ বছর ৮ মাস। তবে এই বয়সেই সে ১০০টির বেশি ছড়া তরতরিয়ে বলে দিতে পারে। তার এই প্রখর স্মৃতিশক্তি এবং প্রতিভার দিকে তাকিয়ে তার বাবা-মা ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডসে নাম রেজিস্টার করার জন্য আবেদন করেছিলেন। যে সময় আবেদন করা হয়েছিল অর্থাৎ আজ থেকে দু’মাস আগে সেই সময় রাহি একসঙ্গে ৫১টি ছড়া মুখস্থ বলেছিল। এখন এই সংখ্যাটা ১০০ পার করেছে।

শুধু ছড়া নয়, এর পাশাপাশি রাহি এই বয়সেই বলতে পারে ১৮টি ফল, ১৫টি পাখি, ১৬টি জীবজন্তু, ১৭টি যানবাহন, ৮টি রং, ৬টি আকৃতি, দেহের ১০টি অংশ, ১২টি দেশের জাতীয় পতাকা এবং ২০টি সবজির নাম। তার এই প্রতিভার দিকে তাকিয়েই ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ রাহিকে একটি পদক এবং সার্টিফিকেট দেন। মেয়ের এমন কৃতিত্বে স্বাভাবিকভাবেই খুশি রাহির বাবা ও মা।

তবে প্রশ্ন হল কীভাবে এই অল্প বয়সে এতসব আয়ত্ত করেছে রাহি? এর পরিপ্রেক্ষিতে তার বাবা-মা জানিয়েছেন, ছোট থেকেই রাহির সামনে বিভিন্ন ধরনের বই তুলে দেওয়া হয়। এছাড়াও খাওয়ানো অথবা ঘুম পাড়ানোর সময় রাহিকে ছড়া শোনানো হত। ধীরে ধীরে একদিন দেখা যায় ও নিজেই সেই সকল ছড়া বলার চেষ্টা করছে। তারপরেই দেখতে দেখতে এই অল্প বয়সে সবকিছু আয়ত্ত করে নেয়।