‘শুভেন্দুর পিছন ফাঁকা, সব কথা মন্দিরে দাঁড়িয়ে বলা যায় না’, মদন মিত্র

সৌভিক রায় : তৃণমূল নেতা মদন মিত্র শনিবার হঠাৎ তারা মায়ের পুজো দিতে তারাপীঠে হাজির হয়। সেখানে তারা মায়ের পূজো দেওয়ার পর তাকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতে দেখা যায়। রঙিন চরিত্রের এমন একজন নেতার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হওয়া মানেই রাজনৈতিক প্রসঙ্গ আর খিল্লি হবে এটাই স্বাভাবিক।

সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে যখন একাধিক প্রশ্ন ওঠে সেই সময় শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। আর সেই সকল প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে মদন মিত্র শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে কখনো খিল্লি করলেন, আবার কখনো তাকে নিয়ে ভবিষ্যৎবাণী করলেন। শুধু তাই নয়, এর পাশাপাশি অমর্ত্য সেন এবং বিশ্বভারতীর উপাচার্যের প্রসঙ্গ উঠতেই বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে পাগল ছাগল বলেও কটাক্ষ করতে দেখা যায় তাকে।

বগটুই গণহত্যাকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে যে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে সেই ক্ষতিপূরণ মিড ডে মিলের টাকা থেকে দেওয়া হয়েছে এমন দাবি তুলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। এর জবাব দিতে গিয়ে মদন মিত্র জানান, তিনি যদি বিজেপির কোন নেতা হতেন তাহলে শুভেন্দু অধিকারীকে এক্ষুনি ঘাড় ধাক্কা দিয়ে দল থেকে বের করে দিতেন। কারণ শুভেন্দু অধিকারী যিনি রাজ্যপালের মতো একজন শিক্ষিত মানুষকে অশিক্ষিত বলে অবমাননা করেছেন। তাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ থেকে বের করে দিতাম বলেই দাবি করেছেন মদন মিত্র।

এর পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারী বারবার যে তারিখ দিয়ে যাচ্ছেন সেই প্রসঙ্গ এদিন নতুন করে উঠতে দেখা যায়। এই প্রসঙ্গের জবাব দিতে গিয়েই মদন মিত্র জানান শুভেন্দু অধিকারী পিছন ফিরে দেখবে পিছন ফাঁকা। মদন মিত্রর কথায়, “এমন কিছু কথা আছে যা মন্দিরে দাঁড়িয়ে বলা যায় না। এই যে ডেটগুলো দিচ্ছে এগুলো গরম করার জন্য দিচ্ছে। এই দিন এনআরসি হবে এসব। যাতে করে ভয় দেখিয়ে পঞ্চায়েতটা দখল করা যায়।”

এরপরেই মদন মিত্র জানান, “ও (শুভেন্দু অধিকারী) জানে না পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর এমন অবস্থা হবে আদালতের নির্দেশে ওর বাড়ির সামনে আর কেউ যাবে না। একদম নিশ্চিত থাকতে পারেন। তৃণমূল তো যাবেই না। তৃণমূল যেতে ঘৃন্না পায়। ও একেবারে যেরকম ভাবে ঘুরছে সেই রকম ভাবেই ঘুরবে। কিন্তু পিছন ফিরে দেখবে পিছনটা ফাঁকা। এমনিই ফাঁকা হয়ে গিয়েছে। শুধু ৭০ জন না ৮০ জনের সিআরপিএফের একটা টিম আছে।”