দলত্যাগী নেতা মন্ত্রীদের মোক্ষম খোঁচা দিলেন মুখ্যমন্ত্রীর, এলো পাল্টাও

নিজস্ব প্রতিবেদন : বিধানসভা নির্বাচন এগিয়ে আসতেই শাসকদলের একাধিক নেতাকর্মী, বিধায়ক ও মন্ত্রীদের দলত্যাগ করে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাতে দেখা যাচ্ছে। রাজনৈতিক মহলের বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বারংবার ঘটে চলা এই ঘটনা কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে ফেলছে শাসক শিবিরকে। আরএ মত অবস্থাতেও দলের বেসুরো নেতাকর্মীদের বুধবার কড়া বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি দলত্যাগীদেরও মোক্ষম খোঁচা দিতে দেখা গেল। তবে মুখ্যমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রী পাল্টা এলো অপরপ্রান্ত থেকেও।

বুধবার আলিপুরদুয়ারে ছিল তৃণমূল নেতা-কর্মীদের নিয়ে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মীসভা। আর এই কর্মীসভায় দলের অস্বস্তি দূর করতে দলীয় কর্মী সমর্থকদের আরও শৃংখলাবদ্ধ হওয়ার বার্তা দেন। পাশাপাশি তিনি দলত্যাগী নেতা-মন্ত্রীদের খোঁচা দিয়ে বলেন, “যারা লোভী, ভোগী তাঁদের জন্য রাস্তা খোলা আছে, চলে যান। তৃণমূলের টিকিট বিক্রি হয় না। তৃণমূলে শৃঙ্খলাবদ্ধ হয়ে থাকতে হবে।”

অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী যেসকল নেতা, মন্ত্রী এবং বিধায়করা ইতিমধ্যেই তৃণমূল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছেন তারা লোভী এবং ভোগী। লোভের বসেই তারা গেরুয়া শিবিরে গিয়েছেন। এই কথা শুধু মুখ্যমন্ত্রীর থেকেই শোনা গেল এমনটা নয়, দলীয় নেতাকর্মীদের দলত্যাগের পরই একাধিকবার এমন খোঁচায় বিদ্ধ হয়েছেন দলত্যাগীরা।

অন্যদিকে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাম না করে রাজ্যের প্রাক্তন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কেও তোপ দাগেন। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, বনমন্ত্রী থাকাকালীন বন সহায়ক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নেওয়া হয়েছে। আর এই বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে বলেও জানান তিনি।

তবে মুখ্যমন্ত্রীর এই সকল খোঁচা ও কটাক্ষের পাল্টা এলো সদ্য গেরুয়া শিবিরে নাম লেখানো রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে। নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে ওঠা প্রশ্নকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর মেসেজ ফাঁস করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন।

রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বন সহায়ক নিয়োগ আমি নিরপেক্ষ ভাবে বোর্ডের হাতে তুলে দিয়েছিলাম। ৮ অক্টোবর সকালে বীরভূমের এক বড় নেতা আমাকে ফোন করে বলেন সব চাকরি তাকে দিতে হবে। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সঙ্গে সঙ্গে মেসেজ করেছিলাম। উনি আমাকে পাল্টা ফোন করে বলেছিলেন সব জেলায় জেলায় তৃণমূল নেতাকর্মীদের কিছু কিছু করে দিয়ে দাও। ওই ম্যাসেজ এখনও আমার কাছে আছে। আপনার সাথে কথা হয়েছিল ৮ অক্টোবর সকাল ৯ টা ৫৮ মিনিটে।”