রামপুরহাটের বগটুই কাণ্ড বড় ষড়যন্ত্র, দাবি মুখ্যমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদন : গত সোমবার বীরভূমের রামপুরহাট থানার অন্তর্গত বগটুই গ্রামে হয়েছে মধ্যযুগীয় বর্বরতা। বরশাল গ্রামের উপপ্রধান ভাদু শেখ খুন হওয়ার পরেই বগটুই গ্রামের আটজনকে কুপিয়ে খুন এবং পুড়িয়ে মেরে ফেলা হয়। প্রথম এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে সিট এবং পরে হাইকোর্টের নির্দেশে এই ঘটনার তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে।

ঘটনার পরদিন ঘটনাস্থলে এসে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের কথা বলেছিলেন। এবার শিলিগুড়িতে দাঁড়িয়ে সেই একই কথা শোনা গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ থেকে। তিনি এই ঘটনাকে বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের আখ্যা দেওয়ার পাশাপাশি অভিযোগ করেছেন, ডেউচা পাচামি কয়লা খনি প্রকল্পের কাজে ব্যাঘাত আনার জন্য রামপুরহাটে এমন কাণ্ড ঘটানো হয়েছে।

এর পাশাপাশি শিলিগুড়ির এই সভা মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিবিআইকেও আক্রমণ করেন। তবে তদন্তে সহযোগিতার আশ্বাসও দিয়েছেন। শিলিগুড়িতে এদিন সভা চলাকালীন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, “ডেউচা পাচামি কাজ চলছে, সেখানে অশান্তি করতেই রামপুরহাটে এরকম ঘটনা ঘটানো হয়েছে।” সিবিআইকে আক্রমণ করতে গিয়ে তিনি বলেন, নোবেল চুরি সহ আরও একাধিক ঘটনার তদন্ত ভার পেয়েছে সিবিআই। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই সকল ঘটনার কোনো কিনারা হয়নি।

এরপরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তার আক্রমণে ঝাঁজ বাড়িয়ে বলতে শোনা যায়, “সিট ভাল কাজ করছিল। এখন সিবিআই তদন্ত করছে করুক, আমরা সাহায্য করব। কিন্তু কোনওভাবে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে অন্য কাজ করলে ফের পথে নামব আমরা।” সিবিআই যখন থেকে নিজেদের হাতে তদন্তভার তুলে নিয়েছে তখন থেকেই এই কথা বলতে শোনা গিয়েছে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষকেও।

এর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন রামপুরহাট কাণ্ড নিয়ে আরও বলেন, “তৃণমূল নেতা খুন হয়েছে। তৃণমূল কর্মীদের বাড়ি পুড়েছে। তারপরও ক্রমাগত আমাদের দোষারোপ করা হচ্ছে। আমি ঘটনার পরই গিয়েছি। সকলের সঙ্গে কথা বলেছি। আমি জানি টাকা দিয়ে মানুষের ক্ষতিপূরণ হয় না। তা সত্ত্বেও বাঁচতে অর্থের প্রয়োজন। তাই সাহায্য করেছি। তদন্তও চলছে।”