চোখের সামনে প্রেমিকের বাইকে চেপে টাটা করলো বউ, সহ্য করলেন না স্বামী

নিজস্ব প্রতিবেদন : ২০ বছরের বিয়ের সম্পর্ক শেষ হয়ে গেল এক নিমেষে। চোখের সামনে প্রেমিকের বাইকে চেপে টাটা করলো বউ। এই ঘটনায় অপমান সহ্য করতে পারলেন না স্বামী। শ্বশুরবাড়িতেই অন্তিম পথ বেছে নিলেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে শ্বশুর বাড়ির চিলেকোঠায় ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় জামাই সুদেব দের মৃতদেহ। শ্বশুরবাড়িতে জামাইয়ের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। তবে এই মৃত্যুর কারণে রয়েছে তার স্ত্রীর প্রেম।

জানা গিয়েছে, ২০ বছর আগে পূর্ব বর্ধমানের বাঘনাপাড়ার বাসিন্দা সুদেব দের সঙ্গে বিয়ে হয় কালনার সাহাপুরের বাসিন্দা টুম্পা দে-র। বিয়ের পর সুখের সংসার শুরু হয়। বছর তিনেকের মধ্যেই ঘরে আসে এক কন্যা সন্তান। যে কন্যা সন্তানের বয়স এখন ১৭ থেকে ১৮। তবে সম্প্রতি তাদের মধ্যে অশান্তি চলছিল। স্ত্রী টুম্পা নাকি স্বামী সুদেবের সঙ্গে সংসার করতে চান না। তিনি তার প্রেমিকের সঙ্গে থাকতে চান। অন্যদিকে স্ত্রীকে ছাড়তেও নারাজ সুদেব।

মাঝে কালিপুজোর সময় বাড়ি এসেছিলেন। তখনই তিনি জানতে পারেন তার স্ত্রী টুম্পা তার প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছেন। তবে সেই বার দুই পরিবারের সদস্যরা আলাপ-আলোচনা করে টুম্পাকে ফিরিয়ে আনেন। কিন্তু সেই ফিরিয়ে আনাই সেই ভাবে কাজ হয়নি। সুদেব ও টুম্পার কন্যাসন্তানের অভিযোগ, তিনি ফের বাড়ি ছেড়ে চলে যান।

এইভাবে বারবার প্রেমিকের সঙ্গে চলে যাওয়া এবং ফের ফিরিয়ে নিয়ে আসার পর গত সোমবার টুম্পা তার প্রেমিকের বাইকে চেপে সুদেব বাবুকে হাত নেড়ে টাটা করে চম্পট দেন। আর এই গোটা ঘটনাতেই চরম অপমানিত হন সুদেব বাবু। ঘটনার দিন রাতেই তিনি শ্বশুর বাড়ির চিলেকোঠায় অন্তিম পথ বেছে। আর এই অন্তিম পথ বেছে নেওয়ার আগেই লিখে যান, “আমার মৃত্যুর জন্য এই বাড়ি বা অন্য কেউ দায়ী নয়। আমি স্বেচ্ছায়, লজ্জাই এই পথ বেছে নিতে বাধ্য হলাম।” পাশাপাশি তিনি মেয়ের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন।