নির্দল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নোটার কাছে হার দুই প্রাক্তন বিধায়কের

নিজস্ব প্রতিবেদন : একুশের বিধানসভা নির্বাচনে দল টিকিট দেয়নি বীরভূমের দুই প্রাক্তন বিধায়ককে। একজন হলেন নলহাটি বিধানসভার প্রাক্তন বিধায়ক মইনুদ্দিন শামস, যিনি ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে শাসকদল তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হয়ে এলাকার বিধায়ক হন।

অন্যদিকে ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হয়ে বিধায়ক হয়েছিলেন লাভপুরের নেতা মনিরুল ইসলাম। কিন্তু পরে তিনি ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন।

মইনুদ্দিন শামস তৃণমূলের প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার আগে পর্যন্ত তৃণমূলের থাকলেও দল তাকে পুনরায় প্রার্থী না করায় দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে দল ছাড়েন এবং নির্দল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা করেন। অন্যদিকে মনিরুল ইসলাম বিজেপিতে গেলেও তাকে টিকিট না দেওয়ায় তিনি সিদ্ধান্ত নেন নির্দল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তবে এই দুই প্রাক্তন বিধায়ক নির্দল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও শিকেয় জয় তো দূরের কথা ২০০০ ভোট নিজেদের ঝুলিতে পুড়তে পারেননি। যে কারণে নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুসারে এই দুই প্রাক্তন বিধায়কের জামানত জব্দ হয়েছে।

নলহাটি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে মইনুদ্দিন শামস পেয়েছেন মাত্র ১৮৩২টি ভোট। বরং সেই জায়গায় এই বিধানসভা কেন্দ্রে নোটায় ভোট পড়েছে ১৯০০। শতাংশের বিচারে মইনুদ্দিন শামস পেয়েছেন ০.৮৮% এবং নোটা পেয়েছে ০.৯১%।

অন্যদিকে মনিরুল ইসলাম একুশের বিধানসভা নির্বাচনে পুনরায় তাঁর বিধানসভা কেন্দ্র লাভপুর থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সেখানে তিনি এবার ভোট পেয়েছেন মাত্র ১৯৯২ টি। সেই জায়গায় এই বিধানসভা কেন্দ্রের নোটাতে ভোট পড়েছে ৩০৫৭ টি। শতাংশের বিচারে মনিরুল ইসলামের ভোটের হার ০.৯৪% এবং নোটার ভোটের হার ১.৪৪%। অর্থাৎ দুই বিধানসভা কেন্দ্রে নোটার কাছে পরাজিত হতে হলো দুই প্রাক্তন বিধায়ককে।