বিজেপিতে MLA ফাটাকেষ্ট

নিজস্ব প্রতিবেদন : অবশেষে সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে রবিবার ব্রিগেডের সমাবেশের আগে বিজেপিতে যোগ দিলেন MLA ফাটাকেষ্ট মিঠুন চক্রবর্তী।

মোদির ব্রিগেড সমাবেশে যোগদানের জন্য শনিবার রাতেই বাংলার এই মহাতারকা মুম্বই থেকে রাজ্যে আসেন। রাতে দীর্ঘক্ষণ ধরে তার সাথে বৈঠক হয় বিজেপির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়র। সেই বৈঠক শেষে কৈলাস বিজয়বর্গীয় মিঠুন চক্রবর্তীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন।

মিঠুন প্রসঙ্গে টুইট করে জানান, “উনার দেশ ভক্তি এবং গরিব মানুষদের প্রতি ভালোবাসা শুনে গর্বিত হচ্ছি।” যার পরেই জল্পনা শুরু হয় তাহলে কি ব্রিগেড সমাবেশে অংশগ্রহণ করার পাশাপাশি MLA ফাটাকেষ্ট’র মিঠুন চক্রবর্তী আজই বিজেপিতে যোগ দেবেন। আর সেই জল্পনার অবসান ঘটলো বেলা গড়াতেই।

MLA ফাটাকেষ্ট যে সিনেমাটি বাংলা চলচ্চিত্রে বিপুল সাড়া ফেলেছিল, সেই সিনেমার নায়ক ছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। ২০০৬ সালে মুক্তি পাওয়া এই সিনেমা বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিল ‘মারবো এখানে, লাশ পরবে শশ্মানে’ ডায়লগের জন্য। আর রাজ্যের ভোটের আগে এই ভাবে তাকে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাতে অনেকেরই মনে সেই নস্টালজিয়া মুহূর্ত ফুটে উঠছে। পাশাপাশি কৌতুহল বাড়তে তাহলে কি তিনি এবার নির্বাচনে প্রার্থীও হতে চলেছেন!

প্রসঙ্গত, সরাসরি রাজনীতির আঙিনায় মিঠুন চক্রবর্তীর পা রাখা এই প্রথম নয়। এর আগে তিনি বাম আমলে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তী ঘনিষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে সুপরিচিত ছিলেন। একাধিক মঞ্চে তাকে বামেদের হয়ে প্রচারেও দেখা গিয়েছিল। রাজ্য রাজনীতি পট পরিবর্তনের সাথে সাথে ২০১১-এর পর তিনি তৃণমূল ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন। তৃণমূলের তরফ থেকে তাকে রাজ্যসভায় পাঠানো হয়।

তবে তৃণমূলের সাথে তার ঘনিষ্ঠতা মোটেই সুখকর হয়নি। তার নাম জুড়িয়ে যায় চিটফান্ড কেলেঙ্কারির সাথে। ধীরে ধীরে শাসকদল তৃণমূলের সাথে তার দূরত্ব বাড়তে শুরু করে। আর এসবের পর মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই চুপিসারে শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন।

[aaroporuntag]
তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর একপ্রকার তিনি অন্তরালেই ছিলেন। হঠাৎ ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে তাকে দেখা যায় নাগপুরের আরএসএস সদর দপ্তরে। তখনই তাকে নিয়ে জল্পনা তৈরি হয় বিজেপিতে যোগ দেওয়ার। যদিও সে সময়ই তেমনটি ঘটেনি। এরপর আবার দিন কয়েক আগেই মুম্বইয়ের নিজের বাড়িতে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের সাথে তার বেশ কিছুক্ষণ বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে অবশ্য মিঠুন চক্রবর্তী দাবি করেছিলেন ‘কেবলমাত্র সৌজন্য সাক্ষাৎ’। তবে এসব শেষে আর কোন রাখঢাক না রেখে রবিবার সরাসরি বিজেপির পতাকা হাতে পুনরায় নেমে পড়লেন সরাসরি রাজনীতিতে।