নিজস্ব প্রতিবেদন : টাকা, পয়সা, ধন দৌলত ছেড়ে এখন সবাই একদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন, আর তা হলো বর্ষা (Monsoon)। মূলত দীর্ঘ মেয়াদি গরম নাজেহাল করে দিয়েছে বাংলার বাসিন্দাদের। বাংলার দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমের জেলাগুলির বাসিন্দাদের অবস্থা আরও সঙ্কটজনক। পশ্চিমের জেলাগুলির তাপমাত্রার পারদ ৪২ ডিগ্রির কাছাকাছি। এমন হাসফাঁস অবস্থার মধ্যে প্রত্যেকেই চাইছেন বর্ষা এসেই যেন স্বস্তি নামায়।
কিন্তু বর্ষার দিকে তাকিয়ে থাকলেও ধীরে ধীরে যেন তার আগমন বিলম্বিত হচ্ছে। এই বছর এমনিতেই কেরালায় বর্ষা ঢুকেছে নির্ধারিত সময়ের থেকে সাত দিন পর। তারপর থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে যেতে শুরু করেছে। উত্তর-পূর্ব ভারতের বেশ কিছু রাজ্যে ইতিমধ্যেই বর্ষা প্রবেশ করলেও পশ্চিমবঙ্গের সব জায়গায় এখনো প্রবেশ করতে পারেনি। পশ্চিমবঙ্গের উত্তরবঙ্গে বর্ষার আগমন হলেও দক্ষিণবঙ্গ খাঁ খাঁ করছে।
দিন কয়েক আগে হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, ১৮ থেকে ২১ তারিখের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের সব জায়গায় বর্ষা প্রবেশ করে যাবে। কিন্তু এখন জানা যাচ্ছে, মৌসুমী বায়ু মালদা হয়ে রাজ্যের দক্ষিণবঙ্গে ঢুকতে দেরি করছে। এর আগে শনিবার পর্যন্ত দহন জ্বালা সহ্য করে রবিবার থেকে মুক্তি মিলতে পারে এমনটা জানানো হলেও বর্তমানে পূর্বাভাস অনুযায়ী আরও দিন চারেক এই দহন সহ্য করতে হবে।
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, সোমবার অর্থাৎ ১৯ জুন ধীরে ধীরে মৌসুমী বায়ু দক্ষিণবঙ্গের দিকে রওনা দেবে। এরপর ২১ তারিখের মধ্যে পাকাপাকিভাবে দক্ষিণবঙ্গের সব জায়গায় বর্ষা প্রবেশ করে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে শনিবার এবং রবিবার স্থানীয়ভাবে কিছু কিছু জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির দেখা মিলতে পারে।
অন্যদিকে বর্ষার আগমন ঘটলেই যে স্বস্তি মিলবে এমন গ্যারান্টিও দিতে পারছে না হাওয়া অফিস। কেননা বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অস্বস্তিকর পরিস্থিতিও বাড়তে থাকবে। তবে বর্তমানে যে পরিস্থিতি চলছে অর্থাৎ তাপপ্রবাহ তা থেকে মুক্তি মিলবে। হাওয়া অফিসের অনুমান, সোমবার থেকেই তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি পাবে দক্ষিণবঙ্গের সব জেলা।