১০-এর বেশি বাড়ছে না মৃতের সংখ্যা, আবার কমেও যায়, দিলীপ ঘোষ

নিজস্ব প্রতিবেদন : পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার করোনা সংক্রামিত রোগী ও মৃতের সংখ্যা গোপন করছে। পশ্চিমবঙ্গে দশের বেশি মৃতের সংখ্যা বাড়ে না, আবার কমেও যায়। করোনার তথ্য নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে এমন নানান অভিযোগ তোলেন তিনি।

সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে রেশন বন্টন ব্যবস্থা, বিজেপি সাংসদদের জোর করে ঘর বন্দী করে রাখা ইত্যাদির পাশাপাশি লাশ গায়েব করার মতো গুরুতর অভিযোগ তুললেন। তিনি জানান, “করোনায় সংক্রামিত নিয়ে রাজ্য সরকার যে তথ্য দিচ্ছে তার চারগুণ মানুষ সংক্রামিত। ভয় দেখিয়ে পুলিশ থেকে শুরু করে ডাক্তার নার্সদের মুখ বন্ধ করে রাখা হচ্ছে। এমনকি সংবাদমাধ্যমেরও কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে। বেশ কিছু তথ্য প্রকাশ্যে এলেও সংবাদমাধ্যমকে তা লিখতে দেওয়া হচ্ছে না। নবান্নের তরফ থেকে একটি অডিট কমিটি গঠন করা হয়েছে। যে কমিটি খতিয়ে দেখছে করোনায় মৃত ব্যক্তির পূর্বে কোন রোগ ছিল কি না। আর এই কমিটি যাদেরই হৃদরোগ অথবা এইরকম জাতীয় রোগ আগে ছিল বলে জানতে পারছে তাদেরকেই করোনায় মৃত বলে গন্য করছে না। লোপাট করা হচ্ছে দেহ।”

এছাড়াও তিনি অভিযোগ করেন, “প্রধানমন্ত্রী যখন করোনার কথা বলেছিলেন তখন তিনি তাচ্ছিল্য করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী যখন লকডাউনের কথা বলেছিলেন, ঘরে থাকতে বলেছিলেন তখন উনি বলেছিলেন আগে নোট বন্দি হয়েছে এখন গৃহবন্দী। এই তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যের জন্যই মানুষ এতটা গুরুত্ব দেয়নি। তার জন্যই আজকে এই পরিস্থিতি। দশের বেশি মৃত্যু বাড়ছে না, আমাদের এখানে আবার মৃতের সংখ্যা কমে যায়। চারগুণ বেশি মৃত্যু হয়েছে। তাই লুকিয়ে নিয়ে গিয়ে লাশ পড়াতে হচ্ছে।”

রেশন বন্টন নিয়ে তিনি অভিযোগ করে জানান, “যে রেশন রেশন ডিলারদের থেকে বন্টন হওয়া দরকার ছিল সেই রেশন এখন পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়ি থেকে বিলি হচ্ছে। প্রধান, উপপ্রধান, কাউন্সিলরদের বাড়িতে বাড়িতে বস্তা বস্তা চাল, আলু পাওয়া যাচ্ছে। যেটা রেশনের দোকান থেকে বিলি হওয়ার কথা ছিল সেটা চলে গেছে নেতাদের বাড়িতে। আর নেতারা নিজেদের পছন্দের মানুষকে সেই সকল জিনিস দিচ্ছেন। এর ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হচ্ছে। ক্ষোভ নিজের হক না পাওয়ায়।”