“নরেন্দ্র মোদী একজনকেই ভয় পায়”, অনুব্রত মণ্ডল

অমরনাথ দত্ত : ক্রমবর্ধমান পেট্রোল ডিজেল ও রান্নার গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে গত ৬ই জুলাই থেকে রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিবাদ। এই প্রতিবাদ কর্মসূচি চলবে আগামী ২১শে জুলাই পর্যন্ত। প্রতিবাদ এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ করা হয় রাজ্যজুড়ে। আর এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে এবার স্বয়ং বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে দেখা গেল গ্যাস সিলিন্ডারের প্রতীকী ছবি গলায় ঝুলিয়ে বাড়ির সামনে থেকে প্রতিবাদ জানাতে। আর এই প্রতিবাদ মঞ্চ থেকেই বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এক্ষুনি পদত্যাগ চাইলেন। পাশাপাশি তিনি বলেন নরেন্দ্র মোদি একমাত্র মমতা ব্যানার্জিকেই ভয় করে।

বাড়ির সামনে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ জানানোর পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অনুব্রত মণ্ডল এদিন জানান, “একটানা ২২ দিন ডিজেল এবং পেট্রোলের দাম বেড়েছে। বেড়েছে গ্যাসের দাম। অপদার্থ কেন্দ্র সরকারের মোদিকে আমরা বলছি ওর পদত্যাগ চাই। কেননা ভারতবর্ষটাকে শেষ করতে চলেছে, ভারতবর্ষে অন্ধকার নামিয়ে আনতে চলেছে। এই সরকার থাকলে ভারতবর্ষে অন্ধকার নেমে আসছে। তাই এই অন্ধকার থেকে বাঁচাতে ইমিডিয়েটলি মোদি সরকার, প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে। অপদার্থ প্রধানমন্ত্রী।”

পাশাপাশি তিনি এদিন বলেন, “বিশ্ব মার্কেটে যেখানে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম অনেক কম। পাকিস্তান থেকে সব দেশ, যেখানে ডিজেলের দাম ৪০ টাকা লিটার সেখানে ভারতে ৮০ টাকা লিটার। সেজন্য পদত্যাগ চাইছি আমরা। সাধারণ মানুষ তো দেখতে পাচ্ছি কি পরিমাণে টানা ২২ দিন পেট্রোল, ডিজেল, গ্যাসের দাম বেড়েছে।
এই সরকারের থাকার কোন অধিকার নাই। বিশ্ব মার্কেটে আজ ডিজেলের দাম ২০.০৫ টাকা। সেটাকে রিফাইন করে পড়ছে ২৯ টাকা। নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা সবাই ৪০ টাকা করে লিটার ডিজেল বেচছে। সেখানে ভারত সরকার ডিজেল বেচছে ৮০ টাকা লিটার।”

কিন্তু পেট্রোল-ডিজেলের দাম কেন বাড়ছে? এ প্রসঙ্গে এদিন অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “ইচ্ছে করে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। চুরি করার ধান্দা। এই সরকারের তো কোন নীতি নাই। এই সরকার তো মানুষের ভালো চায় না। এই সরকার তো কাজ জানে না। এই সরকার তো ভারতের জন্য কোন উন্নতি করতে জানে না। ১৪ সাল থেকে মোদি সরকার ভারতবর্ষের জন্য একটা কি করেছে বলুনতো? আর মা মাটি মানুষের মমতা ব্যানার্জি পশ্চিমবঙ্গে একের পর এক উন্নয়ন করছে। ভারতকে বাঁচাতে গেলে মমতা ব্যানার্জিকে দরকার। একমাত্র নরেন্দ্র মোদী যদি কাউকে ভয় করে সে হচ্ছে মমতা ব্যানার্জি।”