দিঘায় গিয়ে শুধু সমুদ্রে ঝাঁপানো নয়! আপনাকে বিরাট চমক দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রশাসন

নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতে যে সকল সমুদ্র সৈকত রয়েছে তার মধ্যে জনপ্রিয় একটি সমুদ্র সৈকত হলো দীঘা (Digha)। বছরের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গা থেকে পর্যটকরা দীঘায় আসেন তাদের সময় কাটানোর জন্য। দীঘায় সবচেয়ে বেশি পর্যটক হিসাবে দেখা যায় কলকাতা এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দাদের। কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে দীঘা খুব কাছে হওয়ার পাশাপাশি যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হওয়ার কারণে ছুটি পেলেই টুক করে বহু মানুষকে দীঘায় পৌঁছাতে দেখা যায়।

দীঘা এবং পার্শ্ববর্তী মন্দারমনি সহ বিভিন্ন সমুদ্র সৈকত পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠলেও স্থানীয় প্রশাসনের তরফ থেকে এই সকল এলাকা আরও জনপ্রিয় করে তোলার প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। যাতে এই সকল এলাকায় আসা পর্যটকরা একঘেয়েমি হয়ে না পড়েন, কেবলমাত্র সমুদ্রের জলে ঝাঁপ দেওয়ার জন্য না আসেন, বারবার যাতে এই সকল পর্যটকদের দীঘামুখী করা যায় তার জন্যই প্রশাসন বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছে। এসবের মধ্যেই এবার যে উদ্যোগ নিচ্ছে প্রশাসন তা রীতিমতো চমকে দেবে আপনাকে।

দিঘাকে বিভিন্নভাবে সাজিয়ে পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় করে তোলার পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনিক কর্তাদের দাবি, আগাগোড়া ভোল পাল্টাচ্ছে দীঘা। আগাগোড়া ভোল পাল্টানোর ক্ষেত্রে এবার মেরিন ড্রাইভ সাজানোর কাজ শুরু করছে প্রশাসন। দীঘা-শৌলা মেরিন ড্রাইভের দ্বিতীয় লেনের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। এর পাশাপাশি ২৯ কিলোমিটার দীর্ঘ এই মেরিন ড্রাইভ যাতে পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে তার জন্য চমক দিতে চলেছে প্রশাসন।

ইতিমধ্যেই দিঘা থেকে শংকরপুর এলাকায় থাকা মেরিন ড্রাইভে রাজ্যের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য এবং নানা জনমুখী প্রকল্প মডেল হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। দিঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের তরফ থেকে কম্পিউটার এই মডেলগুলি বসানো হয়েছে। আবার দিঘায় যে ওয়েলকাম গেট রয়েছে সেখানে বাগান তৈরি করার কাজ শুরু হয়েছে। আর এরই মধ্যে এমন এক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে যাতে পর্যটকরা মেরিন ড্রাইভের পাশে বসে সময় কাটাতে পারবেন এবং সমুদ্রের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।

এর জন্য মেরিন ড্রাইভের পাশে বসানো হচ্ছে কাঠ এবং কংক্রিটের চেয়ার। মেরিন ড্রাইভের এক লেনের কাজ বছর খানেক আগে শেষ হয়েছে এবং সম্প্রতি ডাবল লেনের কাজ শুরু হয়েছে। কাঁথির শৌলার দিক থেকে মন্দারমণির দিকে মেরিন ড্রাইভের ডবল লেনের কাজ জোরকদমে চলছে। এই কাজ মন্দারমনি পর্যন্ত শেষ হলে রাস্তা ডবল হবে এবং চওড়া হয়ে যাবে।