New Parliament Building: ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পেও টলবে না, নতুন সংসদ ভবনে যা থাকবে চমক যাবে বিশ্ব

Modi’s dream parliament building will not be damaged even by earthquake: ব্রিটিশ আমলে নির্মিত সংসদ ভবনটি এখন অতীত। এই মাসেই দ্বারোদ্ঘাটন হতে চলেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (PM Narendra Modi) স্বপ্নের অভিনব সংসদ ভবন (New Parliament Building) এর। চলতি মাসেই মোদী সরকারের ৯ বছর পূর্ণ হবে। সেই কারণেই এই মাসের শেষ সপ্তাহেই নতুন সংসদ ভবনের দ্বারোদ্ঘাটন করা হবে বলে সূত্রের মাধ্যমে খবর পাওয়া গেছে। এই নতুন সংসদ ভবনটি রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে কিছুটা দূরে সাড়ে ৬৪ হাজার বর্গমিটার এলাকাজুড়ে নির্মিত। বর্তমান সংসদ ভবনের থেকে ১৭ হাজার স্কোয়ার ফুট বড় নতুন সংসদ ভবন। স্বাভাবিকভাবেই সাংসদদের আলাদা ঘর থেকে শুরু করে কমিটি রুম, লাইব্রেরি, খাবারের জায়গা, বিশেষ পার্কিং স্থানও রয়েছে।

নয়া সংসদ ভবন নির্মাণের (New Parliament Building) মূল উদ্দেশ্য হলো ব্রিটিশ আমলে নির্মিত পুরোনো সংসদ ভবনটি জরাজীর্ণ হয়ে গিয়েছে। সেটি সংস্কার করা একান্ত জরুরি। এছাড়া আগের সংসদ ভবনে স্থানাভাবও দেখা দিয়েছে। মূলত সেই কারণেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এই নয়া সংসদ ভবনের পরিকল্পনা বলে প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে। যদিও সমালোচকদের একাংশের মতে, ব্রিটিশ স্মৃতি থেকে বেরিয়ে আসতেই নয়া সংসদ ভবনের নির্মাণ।

দেশের প্রধানমন্ত্রীর মস্তিষ্ক-প্রসূত নতুন সংসদ ভবনে (New Parliament Building) উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষ ছাড়াও প্রতিটি সাংসদদের জন্য পৃথক ঘর রয়েছে। চারতল বিশিষ্ট এই সংসদ ভবনে কেবল সাংসদদের ঘর রয়েছে ১,২২৪টি। সংসদ ভবনে ঢোকার জন্য থাকবে তিনটি আলাদা দরজা রয়েছে- জ্ঞান দ্বার, শক্তি দ্বার এবং কর্ম দ্বার। সাংসদ, ভিআইপি এবং পরিদর্শক, আধিকারিকেরা তিনটি পৃথক দ্বার দিয়ে সংসদ ভবনে প্রবেশ করতে পারবেন। এছাড়া খাবার খাওয়ার জায়গা, কমিটি রুম, লাউঞ্জ লাইব্রেরি, গাড়ি পার্কিংয়ের বিশেষ জায়গা রয়েছে। এই নতুন ভবনে আবার বেসমেন্টের নীচে অর্থাৎ আন্ডারগ্রাউন্ড পার্কিং লট রয়েছে। এই ভবনের ক্যান্টিনে আবার বিভিন্ন রাজ্যের বিভিন্ন রকম খাবার রাখারও বন্দোবস্ত করা হচ্ছে।

শুধুই কি বিশাল জায়গা নিয়ে নির্মিত এই ভবন (New Parliament Building)? না শুধু একাধিক ঘর নয়, নয়া সংসদ ভবনের কারুকাজও সত্যি দেখার মতো। সংসদের দুই কক্ষে সাংসদদের বসার আসন থেকে দেওয়ালের কারুকার্য সবকিছুই সত্যি অভাবনীয়। নয়া ভবনের ভিতরে দেওয়ালে আছে আদিবাসী ও উপজাতি সম্প্রদায়ের মহিলাদের অবদান, যা কারুকার্যের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। টাটা গোষ্ঠীর নেতৃত্বে নয়া সংসদ ভবনটি ভূমিকম্প-প্রতিরোধী হিসাবে গড়ে তোলা হয়েছে। প্রথমে এটি নির্মাণের জন্য ৮৬১.৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। কিন্তু পরে সেই খরচ বেড়ে দাঁড়ায় ১২০০ কোটি টাকা।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, বর্তমান সংসদ ভবনটি ১৯২৭ সালে নির্মিত হয়েছিল। তারপর প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় আসার চার বছর পর ২০২০ সালে নতুন সংসদ ভবন (New Parliament Building) করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। এরপরই তিনি নতুন সংসদ ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা করেন এবং ওই বছরেরই ডিসেম্বরে নতুন সংসদ ভবনের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তারপর তিন বছরের মধ্যেই দ্বারোদ্ঘাটন হতে চলেছে নয়া সংসদ ভবনের। তবে গত ৩০ মার্চ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বয়ং নয়া সংসদ ভবন পরিদর্শনে যান। সাংসদদের বসার আসন থেকে গোটা ভবন তিনি খতিয়ে দেখেন এবং নির্মাণ শ্রমিকদের ধন্যবাদ পর্যন্ত জানান। এই সংসদ ভবন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তথা মোদী সরকারের মুকুটে যে আরও একটি পালক যোগ করল সেটা বলার অবকাশ রাখে না। নয়া ইতিহাস গড়তে চলেছে এই নতুন ভবন তা বলার অপেক্ষা রাখে না।