নিজস্ব প্রতিবেদন : বাঙ্গালীদের বড় অংশ পাহাড়ের ঘুরতে খুব ভালোবাসেন। যে কারণে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার প্রসঙ্গ উঠলেই মনে আসে দার্জিলিং, কালিম্পং সহ পার্শ্ববর্তী বেশ কিছু জায়গা। সেই সকল জায়গা মনে আসার পাশাপাশি ব্যাগ গুছিয়ে পর্যটকরা সেখানেই পাড়ি দেন। তবে এইসব জায়গা অনেক হলো, অনেকের কাছেই বারবার এই সকল জায়গা ঘুরতে গিয়ে একঘেয়েমি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবার সেই সকল পর্যটকদের (Tourist) জন্য সুখবর নিয়ে হাজির রাজ্যের পর্যটন দপ্তর (West Bengal Tourism)।
উত্তরবঙ্গের পর্যটন শিল্পকে আরও কিছুটা অক্সিজেন দেওয়ার জন্য এবার প্রশাসনের তরফ থেকে নতুন এক ঠিকানা নিয়ে হাজির পর্যটকদের সামনে। পর্যটকদের জন্য এবার নতুন যে পর্যটন কেন্দ্র (North Bengal New Tourism) খুলে দেওয়া হল সেখানে পর্যটকরা ঘুরতে যাওয়ার আনন্দ উপভোগ করার পাশাপাশি ইতিহাসের ছোঁয়া পাবেন। সেখানে পাওয়া যাবে দেবী চৌধুরানীর স্মৃতি।
পর্যটকদের সুখবর দিয়ে এবার উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ির দেবী চৌধুরানী স্মৃতিবিজড়িত বৈকন্ঠপুর বনাঞ্চলের গৌড়িকোন এলাকায় তৈরি করা হয়েছে নতুন ইকো ট্যুরিজম হাব। গত সোমবার প্রশাসনের তরফ থেকে নতুন এই ইকো ট্যুরিজম হাব পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। জলপাইগুড়ির সদর ব্লকের বারোপাটিয়া নতুন বস গ্রাম পঞ্চায়েতে তৈরি করা হয়েছে নতুন ইকো ট্যুরিজম হাব। প্রশাসনের তরফ থেকে এর নাম দেওয়া হয়েছে আনন্দমঠ ইকো ট্যুরিজম হাব।
আরও পড়ুন ? IRCTC tour Package: থাকা, খাওয়া নিয়ে চিন্তা নেই! দেশের পর এবার বিদেশের এই সব দেশ ঘোরাবে IRCTC
নতুন এই ইকো ট্যুরিজম হাব তৈরি করার জন্য ইতিমধ্যেই ৫ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে সূত্র মারফত। আপাতত এখানে তিনটি কটেজ তৈরি করা হয়েছে এবং আগামী দিনে ৩০ টির বেশি কটেজ তৈরি করা হবে। এখানে এক একটি কটেজে চারজন করে থাকতে পারবেন। এই সকল কটেজে থাকার জন্য জনপ্রতি খরচ পড়বে ১২০০ টাকা। ওই টাকার মধ্যেই পর্যটকদের খাওয়া দাওয়া সহ সমস্ত রকম ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পর্যটকদের পরিষেবা দেওয়ার জন্য কাজ করবেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা।
এখানকার এই ইকো ট্যুরিজম হাবের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো অর্গানিক ফসল। এখানে বড় একটি অর্গানিক ফার্ম তৈরি করা হচ্ছে এবং সেখানে উৎপাদিত শাকসবজি পর্যটকদের রান্না করে খাওয়ানো হবে। পাশাপাশি মাছ চাষ এবং বোটিংয়ের জন্য তৈরি করা হচ্ছে বিশাল পুকুর। কেউ চাইলে এখানে একবেলার জন্য ঘুরতে আসতে পারেন এবং একবেলার জন্য ঘুরতে আসার পর্যটকদের জন্য থাকবে রেস্তোরাঁ, সেখানে তারা খাওয়া-দাওয়াও করতে পারবেন। পর্যটকরা জলের দরে এখানে থেকে খাওয়া-দাওয়া, ঘোরা সহ সমস্ত সুবিধা পাবেন এবং এখান থেকেই পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে আসতে পারবেন। ঘুরে আসতে পারবেন ইতিহাসের হাতছানি দেওয়া বিভিন্ন জায়গা।