মুরকংসেলেক-পাসিঘাট প্রকল্প এগিয়ে চলেছে দ্রুততার সঙ্গে! উত্তর পূর্ব রেলের বিরাট সাফল্য

দিন যত এগোচ্ছে ততই যেন ভারতীয় রেল উন্নতির শীর্ষে পৌঁছেছে। দেশের বুকে প্রত্যেকটি ছোট বড় স্টেশনকে সাজিয়ে তুলতে রেলের ভূমিকা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। বাদ যাচ্ছে না অত্যাধুনিক ট্রেন তৈরির কাজও। কোটি কোটি টাকা খরচেও পিছু পা হচ্ছে না কেন্দ্রীয় সরকার। আর এরই মাঝে রেলের তরফে আরও এক সুখবর প্রকাশ পেয়েছে। এক কঠিন কাজ সম্পন্ন করে ফেলল ভারতীয় রেল।

অসম এবং অরুণাচল প্রদেশের মধ্যে রেলের যোগাযোগ বাড়িয়ে তুলতে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের মুরকংসেলেক-পাসিঘাট নয়া লাইন প্রকল্পটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। মোটা অংকের টাকা ব্যয়ে, প্রায় ১,২৫২.৪৯ কোটি টাকা খরচে নির্মিয়মাণ ২৬.১৫ কিমি দৈর্ঘের প্রকল্পটি অত্যন্ত সফলতা পেয়েছে অগ্রগতির দিক থেকে যা গত ৩১ মার্চ মাস পর্যন্ত ৪৫% অবধি অগ্রগতির কথা রিপোর্ট করেছে। নতুন প্রকল্পটি মূলত দুটি পর্যায়ে বাস্তবায়িত হচ্ছে। যার প্রথম পর্যায় মুরকংসেলেক-সিলে, ১৫.৬০ কিমি, মাটির কাজে ইতি টানা হবে কারণ এটি শেষ হতে চলেছে।

আরও পড়ুন: নেই কলকাতা যাওয়ায় সরাসরি ট্রেন! বিক্ষোভ বাসিন্দাদের

আসলে ১৪.১৬ লক্ষ সিইউএম এর ১৩.৭৫ লক্ষ সিইউএম মাটির কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে।অন্যদিকে, সুপার স্ট্রাকচার, ১৮টি মেজর ব্রিজ সহ ৩৫টি মাইনর ব্রিজের স্ট্রাকচারের কাজ পাল্লা দিয়ে এগোচ্ছে যা খুব তাড়াতাড়ি পরিণতি পাবে। পাশাপাশি ব্যালাস্ট সরবরাহ ও ট্র্যাক সংযোগের কাজও কিন্তু পিছিয়ে থাকবে না তা খুব তাড়াতাড়ি আরম্ভ হয়ে যাবে। হাত লাগানো হয়েছে মুরকংসেলেক স্টেশন ভবন তৈরির কাজেও যা বাস্তবের ছোঁয়া পাবে আর কদিন বাদেই।

এটির দ্বিতীয় পর্যায়ে যা সিলে-পাসিঘাট সেকশন, ১০.৫৫ কিমি তার জন্য ৬.৮৫ লক্ষ সিইউএমের মধ্যে ৩.৫৫ লক্ষ সিইউএম মাটির কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই ব্রিজ তৈরি সহ ঢালাইর যাবতীয় কাজ সমান তালে এগোচ্ছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একত্রিত হয়ে পাসিঘাট ইয়ার্ডে রোড ওভার ব্রিজের জন্য জমি অধিগ্রহণের কাজ দ্রুত সফলতার ছোঁয়া পাবে।

এদিকে বর্ষার মরসুম ও স্থানীয় বাধাকে উপেক্ষা করেই তৈরির কাজ এগিয়ে চলেছে। এরই মধ্যে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের জেনারেল ম্যানেজার এর পক্ষ থেকে যে কাজ গুলি দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে চলেছে তা পরিদর্শন করা হয়। আধিকারিকদের কাজ যেন দ্রুততা এবং গুণগত মান ধরে রেখে, প্রকল্পটি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কপিঞ্জল কিশোর শর্মার তরফে জানা গিয়েছে, মুরকংসেলেক-পাসিঘাট নতুন লাইন প্রকল্পটি নির্দিষ্ট অঞ্চলের আর্থিক স্বচ্ছলতা আনবে, পাশাপাশি পর্যটন ব্যবস্থার মান উন্নয়ন হবে। একইসাথে দুর্গম সীমান্ত এলাকায় প্রবেশের যোগ্যতা বাড়িয়ে তুলে জাতীয় সংহতি শক্তিশালী করবে।