ডোকলাম ঘাঁটিতে ভারতের নতুন রাস্তায় চিন্তিত চীন সেনা

নিজস্ব প্রতিবেদন : ডোকলাম উপত্যকার সেনা ঘাঁটিতে পৌঁছানোর জন্য ভারতীয় সেনাবাহিনীদের সামনে কোনো রাস্তা ছিল না, ফলে তাদের খচ্চরের পৃথিবীতে পৌঁছাতে হত সেনা ঘাঁটিতে। আর খচ্চরের পিঠে চড়ে পৌঁছাতে সময় লাগে কমপক্ষে ৭ ঘণ্টা। কিন্তু এরপরেই ভারতীয় সেনাদের হাতে এলো মোক্ষম ওষুধ, যাতে রীতিমতো চিন্তায় চীন সেনারা।

২০১৭ সালে ডোকলামে চীনা সেনাদের রাস্তা তৈরি করা নিয়ে ভারত ও চীনের মধ্যে শুরু হয় যুযুধান পরিস্থিতি। ওই এলাকায় টানা ৭৩ দিন দাঁড়িয়ে থাকে দুই দেশের সেনারা মুখোমুখি। এমনকি অবনতি ঘটে ভারত ও চীনের কূটনৈতিক সম্পর্কে। তারপর দীর্ঘ আলোচনার মাধ্যমে অবশেষে পঞ্চশীল চুক্তি মাধ্যমে দুই দেশের সেনা ওই স্থান থেকে তুলে নেয়।

কিন্তু সেনা ঘাঁটিতে ভারতীয় সেনাদের পৌঁছানোর এত সময় অতিবাহিত করার শর্টকাট হিসাবে বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন এমন একটি রাস্তা তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেয় যাতে করে আর ৭ ঘন্টা নয়, মাত্র ৪০ মিনিটে সেনাঘাঁটিতে পৌঁছে যাবে ভারতীয় সেনারা। এমনকি সেই শর্টকাট রাস্তাতে কোন রকম শর্ত ছাড়াই ভারতীয় সেনারা যেকোনো পণ্য এবং অস্ত্রশস্ত্র সরবরাহ করতে পারবে। যার ফলে ওই এলাকায় ভারতীয় সেনাদের নজরদারি বাড়ানোর সহজ হবে বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের। আর এতেই ডোকলাম নিয়ে চিন্তিত চীন সেনাবাহিনী।

২০১৫ সালে এই রাস্তা তৈরির কাজ শুরু হয়। ইতিমধ্যেই ১০ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি হয়ে গিয়েছে, বাকি আরো ২০ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি হতে, যা চলতি বছরেই শেষ হবে বলে মনে করছে বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন। এই রাস্তা গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি ঘাঁটিকে সংযুক্ত করবে বলেও দাবি বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশনের। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সেই রাস্তা নির্মাণ সম্পূর্ণ হলে ভুটান ভারত সীমান্ত লাগোয়া ঢুকলাম এলাকার ভৌগোলিক চিত্র বদলে যাবে।