এসপি অফিসের সামনে বিজেপির ধর্ণা পা দিলো দ্বিতীয় দিনে

হিমাদ্রি মন্ডল : এ মাসের ৬ তারিখ বীরভূমের নানুর থানার অন্তর্গত রামকৃষ্ণপুর গ্রামে গুলিবিদ্ধ হন বিজেপি নেতা স্বরূপ গঁড়াই। বিজেপি নেতাদের প্রথম থেকেই অভিযোগ ছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে অভিযোগ আরও পরিষ্কার হয়ে যায় স্বরূপ গঁড়াইয়ের শেষ জবানবন্দিতে। সেই জবানবন্দিতে তিনি স্পষ্ট জানান, তৃণমূলের লোকেরাই তার ওপর হামলা চালিয়েছিল।

আহত অবস্থায় স্বরূপ গঁড়াইয়ের এনআরএস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার সন্ধ্যা বেলায় তিনি মারা যান। তারপরেই বিজেপির জেলা নেতৃত্ব নানুর থানার সামনে এবং বীরভূম জেলা পুলিশ সুপারের অফিসের সামনে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান বিক্ষোভের কর্মসূচি গ্রহণ করে। বিজেপির দাবি, অবিলম্বে মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে হবে। আর সেই অবস্থান-বিক্ষোভ আজ দ্বিতীয় দিনে পা রাখলো।

আজকের এই অবস্থান-বিক্ষোভ থেকে বীরভূম জেলা বিজেপি সভাপতি শ্যামাপদ মন্ডল পুলিশের বিরুদ্ধে কারচুপির অভিযোগ তোলেন। তিনি বলেন, “স্বরূপের স্ত্রীর ইচ্ছা ছিল স্বরূপের দেহ বিজেপির রাজ্য সদর দপ্তরে নিয়ে গিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর। কিন্তু পুলিশ সেই ইচ্ছাকে সম্মান দেয়নি বরং মায়ের থেকে মাসির দরদ বেশি করে রাতের অন্ধকারে কারচুপি করে দেহ নিয়ে চলে আসে বোলপুরে। পুলিশের এই কাজ করা উচিত হয়নি।”

এছাড়াও আজ তিনি পুলিশকে আক্রমণ করে বলেন, “মূল অভিযুক্ত প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে, পুলিশের ক্ষমতা নেই তৃণমূলের একজন মাঝারি ধরনের নেতারা গায়েও আঁচড় দিতে। তৃণমূলের এরকম অজস্র দাগি আসামি পুলিশের সাথে এক টেবিলে বসে চা খায়। দেখি কি করে গ্রেপ্তার না করে, সেজন্যেই আমাদের ধর্ণা মঞ্চ চলছে।”

এমনকি এইভাবে দেহ নিতে অস্বীকার করে মৃত ওই বিজেপি নেতার পরিবারের লোকজন।

কিছুক্ষণের মধ্যেই এই ধর্ণা মঞ্চে পৌঁছাতে চলেছেন বিজেপির বাঁকুড়ার সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বলে বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে।