‘করোনা ভ্যাকসিন কিভাবে বন্টন হবে তার রূপরেখা হবে’, প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদন : বর্তমান করোনা অতিমারিতে গোটা বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের পাশাপাশি ভারতেরও কোটি কোটি মানুষ তাকিয়ে রয়েছে ভ্যাকসিনের দিকে। বর্তমান এই করোনা প্রকোপের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সকলের প্রশ্ন একটাই কবে আসবে ভ্যাকসিন? স্বাধীনতার পুণ্য দিবসে লালকেল্লায় লালকেল্লায় প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির বক্তব্য রাখার সময় এই ভ্যাকসিনের প্রসঙ্গও উঠে আসে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লালকেল্লায় এদিন বক্তব্য রাখার সময় দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দিকে জোর দিতে ঘোষণা করেন ন্যাশনাল ডিজিটাল হেলথ মিশন এবং এক দেশ এক হেলথ কার্ড কার্যকরী করার বিষয়ে। এছাড়াও তার বক্তব্যে ফুটে ওঠে আত্মনির্ভর ভারত, ভোকাল ফর লোকাল, রাম জন্মভূমি, দেশের দ্বীপসমূহগুলিতে অপটিক্যাল ফাইবার সংযুক্তকরণ, সাইবার সুরক্ষা নীতি ইত্যাদি নানান প্রসঙ্গ। পাশাপাশি এদিন তিনি ভারতের নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর চোখ রাখা চীন ও পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি দিতে দেখা যায় লালকেল্লায় স্বাধীনতা মঞ্চ থেকেই।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এদিন করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে জানান, “দেশের বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে একটাই প্রশ্ন ভারতে কবে করোনা ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে? এ প্রসঙ্গে আমি বলতে চাই ভারত এই মুহূর্তে তিনটি ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চালাচ্ছে। এই তিনটি ভ্যাকসিনের ট্রায়াল আলাদা আলাদা পর্যায়ে রয়েছে। ভারতীয় বিজ্ঞানীদের তরফ থেকে একবার সবুজ সংকেত পাওয়া গেলেই দেশে গণ উৎপাদন শুরু হয়ে যাবে। আর এই ভ্যাকসিন কিভাবে দেশের সবার মধ্যে কম দামে এবং কম সময়ের মধ্যে পৌঁছে দেওয়া যায় তা নিয়ে রূপরেখাও তৈরি করা হবে।”

প্রসঙ্গত, আমরা সকলেই জানি যে ভারত বায়োটেক এবং আইসিএমআর-এর যৌথ প্রচেষ্টায় ভারতে তৈরি কোভ্যাক্সিন করোনাভাইরাস টিকাটির ট্রায়াল শুরু হয়ে গেছে জুলাই মাসেই। আর এই ভ্যাকসিনের প্রথম পর্যায়ের ট্রায়াল শেষ হয়ে বর্তমানে দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালও শুরু হয়ে গেছে বলে সূত্রের খবর। পাশাপাশি এই ভ্যাকসিনের প্রথম পর্যায়ের ট্রায়ালের অভূতপূর্ব সাড়া পাওয়া গিয়েছে বলে জানানো হয়েছে ভারতীয় বিজ্ঞানীদের তরফ থেকে। এর পাশাপাশি ভারতে খুব শীঘ্র করোনা টিকা আসার বিষয়ে এগিয়ে রয়েছে অক্সফোর্ডের করোনা টিকা কোভিশিল্ড। যে টিকার উৎপাদনের দায়িত্বে রয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম টিকা উৎপাদনকারী ভারতীয় সংস্থা সেরাম ইনস্টিটিউট। এই সেরাম ইনস্টিটিউটের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে যে ভারতে ডিসেম্বর নাগাদ হয়তো করোনা টিকা চলে আসতে পারে। পাশাপাশি ভারতে এই করোনা টিকার সর্বাধিক দাম সর্বোচ্চ তিন মার্কিন ডলার হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।