পদ্মশ্রী রাখার জায়গা নেই মঙ্গলকান্তের, করুণ পরিস্থিতি আপনার চোখে জল আনতে বাধ্য

নিজস্ব প্রতিবেদন : আর পাঁচজন যারা পদ্মশ্রী বা অন্য কোন পুরস্কারে পুরস্কৃত তাদের থেকে আলাদা মঙ্গলকান্ত রায়। এই বছর তাকে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে পদ্মশ্রী সম্মানের সম্মানিত করা হয়েছে। ১০২ বছর বয়সে সারিঞ্জা বাদক হিসাবে পদ্মশ্রী পেয়ে তিনি খুব খুশি।

তবে জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ির ব্লকের আমগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ধওলাগুড়ি গ্রামের বাসিন্দা মঙ্গলকান্ত রায়ের পরিস্থিতি শুনলে চোখে জল আনবে যে কোন মানুষেরই। পদ্মশ্রী পাওয়া মানে ভাগ্যের বিষয় হলেও মঙ্গলকান্ত রায়ের পরিস্থিতি সেরকম ভাগ্যবান নয়। খুব কষ্টের সঙ্গে জীবনযাপন করতে হয় তাকে।

সেরকম বাড়িঘর নেই বললেই চলে, বিছানা বালিশ সেই রকমই। বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ভিক্ষা করে যা উপার্জন হত তা দিয়েই তিনি এবং তার স্ত্রী চম্পা রায় সংসার চালাতেন। তবে বয়সের ভারে এখন সেটাও হয় না। বর্তমানে তাদের উপার্জন বলতে কেবলমাত্র ১০০০ টাকা সরকারি ভাতা যা শিল্পীদের দেওয়া হয়।

এমনকি তাদের এই পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার তালিকায় তাদের নাম ছিল। কিন্তু চম্পা রায় জানিয়েছেন, কোন অজ্ঞাত কারণে সেই নাম তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে। বর্তমানে তারা এতটাই কষ্টের মধ্যে জীবনযাপন করছেন যে কেউ যদি তাদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন তাহলে তারা উপকৃত হবেন বলে জানিয়েছেন।

তবে একি কারণে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পের তালিকা থেকে তাদের নাম বাদ দিয়ে গেছে তা নিয়ে কিছু জানা নেই এবং বিষয়টি নিয়ে খোঁজ চালাবেন বলে দাবি করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান দিলীপ রায়। অন্যদিকে স্থানীয় বিডিও শুভ্র নন্দী জানিয়েছেন, শিল্পী ভাতা সহ অন্যান্য সরকারি সুবিধা দেওয়া হয়। রাজবংশী আবাস যোজনা প্রকল্পে তিনি একবার বাড়ি পেয়েছিলেন এবং সেই কারণেই প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পের তালিকা থেকে তাদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।