৪৫ দিনের স্কুল ছুটি কতটা যুক্তিযুক্ত, পুনর্বিবেচনার আর্জি অভিভাবকদের

নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যের যখন তীব্র দাবদাহ চলছে সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্কুলের গরমের ছুটি ঘোষণা করেন। সেই ঘোষণা অনুযায়ী ২ মে থেকে শুরু হয়েছে ছুটি। এই ছুটি চলবে টানা ৪৫ দিন। টানা এই ৪৫ দিন ছুটি কতটা যুক্তিযুক্ত তা নিয়েই উঠছে নানান প্রশ্ন। বিশেষ করে বেসরকারি স্কুলের অভিভাবকরা এই ছুটি নিয়ে পূনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছেন।

২ মে থেকে শুরু হওয়া এই গরমের ছুটি ১৫ জুন পর্যন্ত চলার কথা। এই দীর্ঘ ছুটি বহু বেসরকারি স্কুল কার্যকর করেনি। তবে কার্যকর না করার পরিপ্রেক্ষিতে স্কুল শিক্ষা দপ্তর সেই সকল বেসরকারি স্কুলগুলিকে সতর্ক করে। এই সর্তকতা করার পাশাপাশি জানিয়ে দেওয়া হয়, প্রয়োজন পড়লে অনলাইনে ক্লাস নিতে হবে। স্কুল দপ্তরের সতর্কতার পর শুক্রবার বেসরকারি স্কুলগুলি স্কুল বন্ধ রাখার কথা জানায়।

তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে এই দীর্ঘ ছুটি কতটা যুক্তিযুক্ত তা নিয়ে ইউনাইটেড গার্ডিয়ান্স অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সম্পাদক সুপ্রিয় ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ‘৪৫ দিন গরমের ছুটির পরিস্থিতি এখন আর নেই। তাপপ্রবাহ কমেছে। এই পরিস্থিতিতে অফলাইনে পঠন-পাঠন দরকার। করোনা পরিস্থিতির জন্য পড়াশোনায় ক্ষতি হয়েছে। সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানাচ্ছি।’

অন্যদিকে এই ছুটি ঘোষণার পর অনেক বেসরকারি স্কুল তাদের স্কুল খোলার সময় এগিয়ে নিয়ে আসে। তবে আবার অনেক বেসরকারি স্কুল অনলাইনে পড়াশুনা চালিয়ে যাওয়ার পথ বেছে নেয়। তবে এবার স্কুল বন্ধ রাখার জন্য শিক্ষা দপ্তরের সতর্কতার পর অনলাইনে ক্লাস চলবে বলে মনে করা হচ্ছে।

অন্যদিকে আবার অনেক সরকারি স্কুলে পরীক্ষার সূচি প্রকাশ করা হয়েছিল। কারণ এর আগে শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশ ছিল এই মাসের ১০ তারিখের মধ্যে পরীক্ষা নিতে হবে। তবে এরই মাঝে হঠাৎ স্কুল ছুটি হয়ে যায় সেই সকল পরীক্ষাও আপাতত বাতিল হয়েছে।