আরও কড়া লকডাউন, মিলবে ছাড়ও, গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির

নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দেশের পশ্চিমবঙ্গ সহ পাঁচটি রাজ্য আগেই লকডাউনের মেয়াদ বাড়িয়েছে ৩০ শে এপ্রিল পর্যন্ত। তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ রাখার সময় এই লকডাউনের মেয়াদ ৩০ শে এপ্রিলের পরিবর্তে ৩রা মে পর্যন্ত চলবে বলে জানিয়ে দেন। তবে লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধি এটাই শেষ কথা ছিল না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। এর পাশাপাশি তিনি বেশ কিছু আশার আলো যুগিয়েছেন দেশের নাগরিকদের জন্য।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, “করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউনই একমাত্র পথ। আর এই পথ অবলম্বন করায় ভারত ইতিমধ্যেই অন্যান্য আরও পাঁচটা দেশের তুলনায় অনেক স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। লকডাউন চলাকালীন আপনাদের কষ্ট সহ্য করতে হচ্ছে তা বুঝতে পারছি। বহু মানুষ জীবিকা, খাদ্য ও যাতায়াত নিয়ে অসুবিধায় রয়েছেন। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে এ ছাড়া উপায়ও নেই। তাই লকডাউন আগামী ৩রা মে পর্যন্ত বাড়ানো হলো।”

এর পাশাপাশি তিনি বলেন, “আগামী এক সপ্তাহ আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যে কারণে ২০ই এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউনকে আরও কড়াকড়ি করা হবে। দেশের প্রতিটি জেলা, প্রতিটি থানার উপর নজরদারি রাখা হবে লকডাউনের পরিপ্রেক্ষিতে। লকডাউনের এই ৭টা দিন যেন সফলভাবে পালন করা হয়। এই ৭ দিনই দিশা দেখাবে ভারতকে।”

এরপরেই তিনি জানান, “২০ই এপ্রিলের পর দেশের বেশ কিছু অংশে ছাড় দেওয়া হতে পারে। ছাড় দেওয়া হতে পারে দিন আনা দিন খাওয়া গরিব মানুষদের মুখের দিকে তাকিয়ে। তাদের রুজি রোজগারের বিষয়ের দিকে তাকিয়ে। ২০ তারিখের পর বিশেষ বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে ছাড় মিলতে পারে যে সমস্ত এলাকায় করোনা সংক্রমণ ঠেকানো সম্ভব হয়েছে অথবা দেখা দেয়নি।”

২০ তারিখের পর বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে ছাড়ের কথা জানালেও তিনি আরও জানান, “তবে মনে রাখতে হবে যে সকল জায়গায় ছাড় দেওয়া হবে সে সকল জায়গায় যদি করোনা একবারও পা রাখে তাহলে সমস্ত রকম ছাড়পত্র তুলে নেওয়া হবে সঙ্গে সঙ্গে। আবার সেই এলাকায় জারি হবে লকডাউনের কড়া পদক্ষেপ। আর এই বিষয়ে আগামীকাল কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে একটি নির্দেশিকা প্রদান করা হবে।”

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বক্তব্য অনুযায়ী যেটুকু বোঝা যাচ্ছে তাতে ২০ তারিখের পর থেকে যে সকল জায়গায় এখনও পর্যন্ত করোনা সংক্রমণ দেখা দেয়নি অথবা সংক্রমণের আশঙ্কা কম সেই সকল জায়গায় কৃষি, কলকারখানা ও অন্যান্য জীবিকার মাধ্যমে উপার্জনের ক্ষেত্রেও ছাড় মিলতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।তবে খেয়াল রাখতে হবে আগামী ৭ দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভারতের জন্য। তাই এই ৭ দিন লকডাউনবিধি কঠোরভাবে মেনে চলুন। প্রশাসনও কঠোরভাবে নীতি নির্ধারণ করবে আগামী ৭ দিন, তাই সতর্ক থাকুন।