লকডাউনে নজরদারি চালাতে গিয়ে হুসনাবাদে আক্রান্ত সিউড়ি থানার পুলিশ

হিমাদ্রি মণ্ডল : করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দেশে জারি হয়েছে লকডাউন। আর এই লকডাউনকে সম্পূর্ণভাবে কার্যকর করার দায়িত্ব রয়েছে পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্তাদের। আর পুলিশ তাদের কাজ করতে গিয়ে বারবার আক্রান্ত হচ্ছেন। এর আগে আমরা দেখেছি হাওড়ার টিকিয়াপাড়ার ঘটনা। এবার সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটলো বীরভূমে। লকডাউনে নজরদারি চালাতে গিয়ে আক্রান্ত বীরভূমের সিউড়ি থানার পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে সিউড়ি থানার অন্তর্গত হুসনাবাদ এলাকায়।

শনিবার রাত দশটা নাগাদ সিউড়ির হুসনাবাদ এলাকায় সিউড়ি থানার ট্রাফিক ওসি সুমন প্রামাণিকের নেতৃত্বে রুটিনমাফিক টহল চলছিল। সেই সময় একদল যুবককে জটলা করে গল্পগুজব করতে দেখলে পুলিশের ওই বাহিনী ধাওয়া করে। পুলিশের তাড়া খেয়ে এক যুবক পড়ে গিয়ে আহত হয়। এই ঘটনার পরই দল বেঁধে ওই পাড়ার বেশকিছু পুলিশের উপর আক্রমণ শুরু করে। পুলিশদের লক্ষ্য করে ছোঁড়া হয় ইটপাটকেল। ভাঙচুর চালানো হয় পুলিশের একটি মোটরবাইকে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় সিউড়ি থানার আই.সি., ডি.এস.পি. ডি.এন.টি. অভিষেক মণ্ডল সমেত সিউড়ি থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। শুরু হয় ধরপাকড়।

শনিবার রাত থেকেই এলাকায় শুরু করা হয় পুলিশের টহলদারি। ঘটনার সঙ্গে যুক্ত অভিযোগে রবিবার সকাল পর্যন্ত গ্ৰেপ্তার করা হয়েছে তিনজনকে।

পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, গতকাল রাতে জটলা সরানোর সময় পুলিশ বেশকিছু যুবকের পিছন ধাওয়া করলে গ্রামের বাসিন্দারা পুলিশের উপর এসে চড়াও হয়। যদিও ঘটনার পর পুলিশি টহলদাড়ি বাড়ানো হলে রবিবার সকাল থেকেই সিউড়ি হুসনাবাদ পাড়া একেবারে শুনশান।

হাওড়ার টিকিয়াপাড়ার পর সিউড়ির হুসনাবাদ এলাকায় পুলিশের উপর আক্রমণের ঘটনায় চিন্তা বাড়িয়েছে জেলা প্রশাসনের। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে লকডাউন কার্যকর করতে আরও সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগে নামবে প্রশাসন, সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে আরও অগ্রসর হতে হবে।