পুলিশকর্মীর জায়গা ক্লাব গড়ার মতলব, নেতৃত্ব তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান!

হিমাদ্রি মন্ডল : রাতারাতি সিদ্ধান্ত নিয়ে পুলিশকর্মীর জায়গা নিজেদের আয়ত্ত্বে আনার চেষ্টা চালানোর অভিযোগ তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েতের প্রধানসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। জেসিবি এনে সকাল থেকে শুরু হয় জায়গা পরিষ্কার করার কাজ। আর তারপরই সরগরম হয়ে ওঠে এলাকা। অবশেষে পুলিশের মধ্যস্থতায় কাজ বন্ধ হয়। তবে সিউড়ির শহরের পার্শ্ববর্তী এলাকায় এমন ঘটনা নিয়ে নানান প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে স্থানীয়দের মধ্যে।

ঘটনাটি ঘটেছে সিউড়ি ২ নম্বর ব্লকের কেন্দুয়া পঞ্চায়েত এলাকায়। কলকাতা পুলিশে কর্মরত কলকাতা পুলিশে কর্মরত এক পুলিশকর্মীর পরিবারের দাবি অনুযায়ী, কেন্দুয়ার জোড়া শীবতলা এলাকায় ওই পুলিশ কর্মীর বসত বাড়ির পাশের পাঁচিল ঘেরা জায়গাটি তাদের এবং তাদের কোনো অংশীদারিত্বের। যদিও পঞ্চায়েত প্রধানের দাবি, জায়গাটি হল একটি ট্রাস্টি বোর্ডের। আর এই জায়গাটি রবিবার সকাল থেকে দখলের চেষ্টা শুরু হয় বলে অভিযোগ ওই পুলিশ কর্মীর পরিবারের লোকজনের। অভিযোগ ওঠে ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে এলাকার তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নারায়ণ বাগদী এই কাজ করাচ্ছেন।

পুলিশকর্মীর স্ত্রী দেবযানি গোস্বামীর অভিযোগ, “আমাদের কিছু না বলে স্থানীয় কিছু দুষ্কৃতীরা জায়গা দখলের চেষ্টা করছে। আমরা কিছু বলতে গেলে আমাদের নোংরা নোংরা ভাষায় কথা বলছে। আমরা সকাল থেকেই পুলিশ প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছি। আমার স্বামী কলকাতা পুলিশে কর্মরত। এই করোনার সময় তিনি আসতে পারছেন না, তাই এই সুযোগ নিয়েই তারা একাজ করছে। তাদের এই জায়গায় একটা ক্লাব করার মতলব আছে।”

ঘটনার নেতৃত্ব দেওয়া কেন্দুয়া পঞ্চায়েতের প্রধান নারায়ণ বাগদী দখলের অভিযোগ অস্বীকার দাবি করেন, “এই জায়গাটি একটি ট্রাস্টি বোর্ডের অধীনস্থ। তাদের সঙ্গে কথা বলেই এই জায়গাটি আমরা পরিস্কার করছি। দীর্ঘদিন ধরেই এই স্থানে অসামাজিক কাজকর্ম চলছে এবং যে পাঁচিল দেওয়া ছিল সেটি বিপদজনক অবস্থায় ছিল, যে কোন সময় ভেঙ্গে পড়তে পারতো। সেই কারণে আমরা এই জায়গাটি সংস্কারের কাজ করছি, আগাছাগুলোকে পরিষ্কার করে দিচ্ছি যাতে অসামাজিক কাজকর্ম না হয় এখানে।”

ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সিউড়ি থানার পুলিশ। তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং কাজ বন্ধের নির্দেশ দেন। পরে দুপক্ষকেই থানায় কাগজপত্র নিয়ে এসে দেখা দেয় বলা হয়।