শিক্ষকদের দারুণ সুখবর দিল মমতা সরকার, চালু হচ্ছে প্রমোশন পদ্ধতি, তৈরি হবে নতুন পদ

নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যে তৃণমূল সরকারের আসার পর চালু হয়েছে নতুন নতুন চাকরি। বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই সকল চাকরির জন্য নতুন নতুন পদ তৈরি হয়েছে। কিন্তু লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, রাজ্যের শিক্ষকদের (Teachers) বড় অংশ রাজ্য সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের বিরুদ্ধে হামেশাই ক্ষোভ উগরে দেন। এই সকল ক্ষোভ উগরে দেওয়ার মধ্যেই শিক্ষকদের নিয়ে রাজ্য সরকারের দারুণ একটি পরিকল্পনা সামনে এলো। যে পরিকল্পনা রীতিমতো শিক্ষকদের জীবনরেখা বদলে দিতে পারে।

রাজ্য সরকারের যে পরিকল্পনার বিষয়ে জানা যাচ্ছে তা হল তাদের প্রমোশন (School Teachers Promotion)। কলেজ অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে এই ধরনের প্রমোশন চালু রয়েছে। অধ্যাপকদের ক্ষেত্রে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর, অ্যাসোসিয়েট প্রফেসরের মতো যেমন নানান পদ রয়েছে ঠিক সেইরকমই স্কুল শিক্ষকদের ক্ষেত্রেও নতুন পদ তৈরি করে তাদের প্রমোশন দেওয়া হবে। নতুন এই প্রমোশন নীতি রাজ্যে খুব তাড়াতাড়ি আসবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

শিক্ষকদের পদোন্নতির জন্য কোন কোন বিষয়ের উপর পদোন্নতি নির্ভর করবে তা সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই একটি ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে সূত্র মারফত। ইতিমধ্যেই সেই কমিটি তাদের কাজ শুরু করে দিয়েছে এবং চলতি মাসের শেষের দিকেই এই বিষয়ে চূড়ান্ত একটি সিদ্ধান্ত বিকাশ ভবনে জমা পড়তে পারে বলেও আশা করা হচ্ছে। শিক্ষকদের পদোন্নতির জন্য মূলত অ্যাসোসিয়েট টিচার, সিনিয়র টিচারের মত পদ তৈরি করা হবে।

শিক্ষকদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে যে সকল বিষয়গুলি প্রাধান্য পাবে তা সম্পর্কে সূত্র মারফত যা জানা যাচ্ছে তা হল, কোন শিক্ষকের যদি নিজের লেখা কোন বই থাকে তাহলে তিনি পদোন্নতির ক্ষেত্রে অনেক বেশি অগ্রাধিকার পাবেন। যেমন কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অধ্যাপিকাদের পদোন্নতি হয়ে থাকে তাদের প্রকাশনার বিচারে। এছাড়াও স্কুলের কোন শিক্ষামূলক ভ্রমণের ক্ষেত্রে ওই শিক্ষকের ভূমিকা খতিয়ে দেখার বিষয়েও বিবেচনা হতে পারে।

এর পাশাপাশি আরও বেশ কিছু বিষয়কে শিক্ষকদের পদোন্নতির জন্য মাপকাঠি হিসেবে রাখা হচ্ছে। যেমন দেখা হবে কোন শিক্ষক হেড একজমিনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন কিনা, ক্লাসরুমে তার পড়ানো কেমন, রুটিনের বাইরেও তিনি বাড়তি ক্লাস নিয়ে থাকেন কিনা ইত্যাদি। ডিএ সংক্রান্ত বঞ্চনার যে সকল দাবি-দাওয়া রাজ্যের শিক্ষকদের একাংশ এবং রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা বারবার তুলছেন সেই সময় শিক্ষকদের এমন পদোন্নতির বিষয়টি নতুন করে সাড়া ফেলে দিয়েছে রাজ্যে।