ওষুধের ‘আধার কার্ড’, বিক্রির নিয়মে বদল, জালিয়াতি ঠেকাতে নয়া ব্যবস্থা কেন্দ্রের

নিজস্ব প্রতিবেদন : আধার কার্ড বা আধার নম্বর এখন ভারতীয় নাগরিকদের কাছে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নথি হিসেবে পরিচিত। মূলত জালিয়াতির বিভিন্ন জায়গায় লাগাম টানার ক্ষেত্রে এই আধার কার্ডকেই হাতিয়ার করে নেওয়া হচ্ছে। ঠিক সেই রকমই এবার ওষুধের ক্ষেত্রেও আসছে ওষুধের আধার কার্ড। ওষুধের এই আধার কার্ড অবশ্য আক্ষরিক অর্থে নয় বরং রূপক হিসাবে।

বর্তমানে খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান ইত্যাদি ন্যূনতম চাহিদার পাশাপাশি ওষুধও দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে। প্রতিটি বাড়িতেই হামেশাই নানান রোগের বাসা বাঁধতে দেখা যাচ্ছে আর তার কারণেই ওষুধের প্রয়োজনীয়তা দিন দিন বাড়ছে। ওষুধের প্রয়োজনীয়তা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি ওষুধ নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগ উঠছে। এই সকল পরিপ্রেক্ষিতে এবার জালিয়াতিতে লাগাম টানতে নয়া নিয়ম জারি করল কেন্দ্র।

কেন্দ্রের এই নতুন নিয়ম অনুযায়ী এবার ওষুধের আধার কার্ড হিসেবে আনা হচ্ছে বার কোড বা কিউ আর কোড। নতুন নিয়ম অনুযায়ী এবার দেশে যে সকল ওষুধ বিক্রি হবে সেখানে প্রতিটিতে বার কোড থাকা বাধ্যতামূলক। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ‌্য ও পরিবার-কল‌্যাণ মন্ত্রকের তরফে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এমনটাই জানানো হয়েছে।

সম্প্রতি ড্রাগস অ‌্যান্ড কসমেটিক রুলস, ১৯৪৫ আইনের সংশোধন করে প্রকাশ করা হয়েছে ড্রাগস অ‌্যান্ড কসমেটিক রুলস, ২০২২। বলা হয়েছে, “এইচ টু সূচি মেনে এবার থেকে ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলিকে তাদের প্রাথমিক প‌্যাকেজিং তথা মোড়কে বার কোড বা কিউ আর কোড (কুইক রেসপন্স কোড) ছাপতে হবে। যদি সেখানে জায়গা কম থাকে, তাহলে সেকেন্ডারি প্যাকেজিং লেবেলে এই সংক্রান্ত তথ্য রাখতে হবে।”

এই ঘোষণা অনুযায়ী ওষুধের স্ট্রিপ হোক বা শিশি অথবা প‌্যাকেট কিংবা মোড়কের গায়ে বার কোড রাখতে হবে বাধ্যতামূলকভাবে। তাতে থাকবে যে সকল তথ্য সেগুলি হল প্রোডাক্ট আইডেন্টিফিকেশন কোড, ওষুধের ‘প্রপার’ ও জেনেরিক নেম, ব্র্যান্ড নেম, প্রস্তুতকারকের নাম-ঠিকানা, ব‌্যাচ নম্বর, ম্যানুফ্যাকচারিং ডেট, এক্সপায়ারি ডেট, ম্যানুফ্যাকচারিং লাইসেন্স নম্বর ইত্যাদি। নতুন এই নিয়ম জারি হবে ২০২৩ সালের ১ আগস্ট।