বাবুলকে SMS রাজা রামমোহন রায়ের, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর উত্তরে তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদন : যাদবপুর কাণ্ডের পর কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মদিনে আবার শিরোনামে। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশতবর্ষ জন্মজয়ন্তীতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে চরম বিড়ম্বনায় পড়েন তিনি। যা নিয়ে কাল থেকেই তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম।

সতীদাহ প্রথা বিলোপ করেছিলেন রাজা রামমোহন রায়। কিন্তু বিদ্যাসাগরের জন্মদিনের বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় তা ভুল বশত বিদ্যাসাগরের ঘাড়ে চাপিয়ে দেন। তিনি বলেছিলেন, “সতীদাহ প্রথা বিলোপ করেছিলেন বিদ্যাসাগর।” আর যা নিয়েই শুরু হয় তুমুল বিতর্ক, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীকে ঘিরে চলে চরম কটাক্ষ।

তবে এই সমালোচনায় বাঁধ দিতে ইতিমধ্যেই নেমে পড়েছেন বাবুল সুপ্রিয়। গতকালই এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি তার মন্তব্য প্রকাশ করেছেন। তাও আবার বেশ হাস্যরসাত্মক ভঙ্গিতে। তবে তিনি যে পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় করেছেন, তাতে তিনি তার ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন, পাশাপাশি বেশ মজাও করেছেন।

তিনি তার পোষ্টটিতে লিখেছেন, “হা হা, আজ একটা ভুল তো করেছি! বিদ্যাসাগরকে নিয়ে বলার সময়ে বিধবা বিবাহ বলতে গিয়ে, বিধবা বিবাহ তো বলেছি তবে তার সাথে সতীদাহ প্রথা অবলুপ্তিটাও জুড়ে দিয়েছি। এটা মুখ ফসকে বলে ফেলেছি।”

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মদিন এই ভুলের জন্য বাবুল সুপ্রিয় অনুতপ্ত তা তার পোস্টেই প্রকাশ পেয়েছে। তবে একই সঙ্গে মজা করে তিনি এদিন তার পোষ্টটিতে লিখেছেন, “কিন্তু এবার কি হবে বলুন তো! আমি কি বাঁচার/নিঃশ্বাস নেওয়ার অধিকার হারিয়ে ফেললাম? কত মানুষ কত কিছু লিখেছে, বিশেষ করে ‘baaaam-yera! যদিও রাজা রামমোহন রায় আমাকে অলরেডি মাফ করে দিয়ে হাসিমুখে এসএমএস করেছেন, আশীর্বাদও করেছেন। আপনারাও করে ফেলুন।”

এরপরে শ্লেষাত্মক ভঙ্গিতে বাবুল সুপ্রিয় লিখেছেন, “আপনারাও মাফ করে ফেলুন বলতে খুব ইচ্ছা করছে কিন্তু পারবেন কি? তবে যাই করিনা কিন্তু মানুষের ক্ষতি কিন্তু করি না। বৃষ্টির দিনে চা তেলে ভাজার সাথে ডিসকাস করার মত একটা টপিক তো পেলেন।”

আর সবার শেষে একেবারে হাসি দিয়ে লিখেছেন, “যাদবপুর ইউনিভার্সিটিতে এনআরসির ফুল ফর্ম জিজ্ঞেস করার সাথে এটার কিন্তু কোনো সম্পর্ক নেই।”