বড়লোকের বিটি লো লম্বা লম্বা চুল! এই গান শুধু বাংলা নয়, বছরের পর বছর ধরে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের সমাদৃত। গানটি এতটাই জনপ্রিয়তা পায় যে সম্প্রতি গানের স্রষ্টা রতন কাহার পেয়েছেন পদ্মশ্রী। বড়লোকের বেটি লো গানের জন্য, পদ্মশ্রী পুরস্কার প্রাপ্তির জন্য রতন কাহারকে এখন চেনেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল, তবে রতন কাহারের এমন একটি গুণ রয়েছে যে গুণটি অনেকের অজানা। শুধু অনেকের নয় হলফ করে বলা যেতে পারে নিরানব্বই শতাংশ মানুষেরাই তার সেই গুণ সম্পর্কে জানেন না।
রতন কাহার এমন একটি গুণের অধিকারী যিনি ১৯৭৩ সাল থেকে বাংলার হারিয়ে যাওয়া প্রাচীন সংস্কৃতিকে বহন করে চলেছেন। ৯০ বছরে পা রাখলেও, পদ্মশ্রীর মতো পুরস্কারে পুরস্কৃত হলেও তিনি তার সেই কাজ ভুলে যাননি।
আরও পড়ুনঃ আহমেদপুর-কাটোয়া রুটে ট্রেন বৃদ্ধির দাবিতে রাজ্যসভার সাংসদের দ্বারস্থ প্যাসেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশন
আসলে কার্তিক মাস হল ধর্ম মাস। আর এই কার্তিক মাসেই বহু জায়গায় টহল গানের বন্দোবস্ত হয়ে থাকে। যদিও টহলগান এখন আস্তে আস্তে হারিয়ে যাচ্ছে, তবে রোজ ভোর তিনটের সময় উঠে সিউড়ির বাসিন্দাদের টহল গানে কার্তিক মাসে জাগান রতন কাহার।
কার্তিক মাসে ভোর তিনটের সময় উঠে বড় কালীবাড়ি থেকে শুরু করে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে চলে তার টহলগান। আর যারা জানেন যে রতন-কাহার ভোরে টহল গান গাইতে আসবেন তারা তার অপেক্ষায় থাকেন। অনেকেই রয়েছেন ভোরবেলায় রতন কাহারকে চা বানিয়ে দেন। তারা রতন কাহারের এমন কর্মকাণ্ডে রীতিমত খুশি এবং তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। কেননা এই বয়সে এই ভোরবেলায় কনকনে ঠান্ডায় তিনি যে আজও প্রাচীন বাংলা সংস্কৃতিকে ধরে রেখেছেন তা ভোলার নয়।
