RBI’s decision to cancel the license of 8 banks: রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া গত অর্থবর্ষে বাতিল করেছে ৮টি ব্যাংকের লাইসেন্স (Cancelled Bank licence)। এর মধ্যে বেশিরভাগই হল গ্রামীন কোঅপারেটিভ ব্যাংক। যদি আপনার টাকা এই ব্যাংকে থাকে তাহলে নিতে হবে বিস্তারিত খবর। গত ৩১ শে মার্চ বাতিল হয়েছে এই ব্যাংকগুলোর লাইসেন্স। ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক এই ব্যাংকগুলোর বিরুদ্ধে নিয়েছে কঠোর ব্যবস্থা।
এগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটি ব্যাংকের বিরুদ্ধে ধার্য করা হয়েছে জরিমানা। যদিও এই লাইসেন্স বাতিল (Cancelled Bank licence) করার সিদ্ধান্তে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কো-অপারেটিভ ব্যাংকগুলো। ২০২৩ সালের ৩১ শে মার্চ শেষ হয়েছে একটি ফিন্যান্সিয়াল বছর। ঠিক সেই সময়ই বাতিল করা হয়েছে আটটি ব্যাংকের লাইসেন্স। আরবিআই ২০২১-২২ সালে ১২টি কো-অপরেটিভ ব্যাঙ্ক এর লাইসেন্স বাতিল করেছে। এছাড়া ২০২০-২১ সালে ৩টি এবং ২০১৯-২০ সালে ২টি ও অপারেটিভ ব্যাংকের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। এবার থেকে রিজার্ভ ব্যাংক জারি করেছে কিছু নিয়ম।
সেই জারি করা নিয়ম অনুসারে, এই আটটি ব্যাংকের বিরুদ্ধে রিজার্ভ ব্যাংক এর পক্ষ থেকে জরিমানা ধার্য করা হয়েছে ১০০ বারের বেশি। সেই কারণেই শেষপর্যন্ত বাতিল করা হয়েছে এই ব্যাংকগুলোর লাইসেন্স (Cancelled Bank licence)। আসলে কোঅপারেটিভ ব্যাংকগুলো চালু করার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল গ্রামাঞ্চলে দ্রুত গতিতে ব্যাংকিং পরিষেবাকে ছড়িয়ে দেওয়া। তাহলে কেনো বাতিল করা হলো লাইসেন্স?
রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া এই কোঅপারেটিভ ব্যাংকগুলোর কিছু অনিয়মের জন্যই নিয়েছে কড়া পদক্ষেপ। আসলে কো-অপারেটিভ ব্যাংকগুলোর ভুল অর্থনীতি, রাজনৈতিক নেতাদের হস্তক্ষে এবং দুর্বল সিদ্ধান্ত ব্যাংকগুলোর বন্ধ হবার অন্যতম কারণ। রিজার্ভ ব্যাংকের নিয়ম এরা কখনোই পালন করেনি, যার জন্য এদের বিরুদ্ধে নিতে হয়েছে কড়া পদক্ষেপ। লাইসেন্স বাতিল (Cancelled Bank licence) করতে হয়েছে আটটি ব্যাংকের। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া বিগত বেশ কয়েকটি বছর ধরে নজর রেখেছিল কয়েকটি কোঅপারেটিভ ব্যাংকের ওপর।
এবার জেনে নিতে হবে কোন কোন ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট বাতিল করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। সেই নামগুলি হলো, শ্রী আনন্দ কো অপরেটিভ ব্যাঙ্ক, রূপী কোঅপরেটিভ ব্যাঙ্ক, ডেক্কন আর্বন কোঅপরেটিভ ব্যাঙ্ক, লক্ষ্মী কোঅপরেটিভ ব্যাঙ্ক, বাবাজি দাতে মহিলা আর্বান ব্যাঙ্ক, মুঘল কো-অপরেটিভ ব্যাঙ্ক, মিলথ কো-অপরেটিভ ব্যাঙ্ক ইত্যাদি। এইসব ব্যাংকগুলোর লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে বিভিন্ন কারণে। এদের সবথেকে বড় ভুল কাজ হল, অপর্যাপ্ত পুঁজি, অনিয়ম ও ব্যাঙ্কিং নিয়ম না মানা।