পার্থ দাস : রাস্তায় পেরিয়ে যাওয়ার সময় লক্ষ্য করা যায় বহু ক্ষেত্রেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে রয়েছে পথকুকুর। নিজেরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই এই অবলা প্রাণীদের উপর দিয়ে চলে যায় ভারী যানবাহন। দিনের আলোয় এমন দুর্ঘটনা কম হলেও রাতের অন্ধকারে সংখ্যাটা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পায়। এমত অবস্থায় এই সকল অবলা প্রাণীদের রক্ষা করতে অভিনব উদ্যোগ নিল সিউড়ির কয়েকজন যুবক যুবতী।
বীরভূমের সিউড়ি শহরের ‘হ্যান্ডস অফ লাভ’ নামে একটি কুকুরদের রক্ষণাবেক্ষণ সংক্রান্ত স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা রয়েছে। সেই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এবং তাদের সদস্যরা এই সকল পথ কুকুরদের রাতের অন্ধকারে দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য এই অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে। অভিনব উদ্যোগ হিসেবে তারা শহরের সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকায় যে সকল পথকুকুর রয়েছে তাদের গলায় রিফ্লেক্টিভ কলার পরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গতকাল অর্থাৎ সোমবার থেকে তারা তাদের কাজ শুরু করে দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই বহু কুকুরের গলায় সেই রিফ্লেক্টিভ কলার লাগানো সম্ভব হয়েছে। আগামী দিন কয়েকের মধ্যেই তারা তাদের লক্ষ্য মাত্রায় পৌঁছে যাবেন বলে আশাবাদী। এছাড়াও তারা এই রিফ্লেক্টিভ কলার পরানোর পাশাপাশি অ্যান্টি র্যাবিস ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ চালাচ্ছেন।
হ্যান্ডস অফ লাভ সংস্থার সদস্য পায়েল মন্ডল জানিয়েছেন, “আপাতত আমাদের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে সিউড়ি শহরের ৪০টি কুকুরের গলায় এই ধরনের রিফ্লেক্টিভ কলার লাগানোর। এর পাশাপাশি ৬০টি কুকুরকে অ্যান্টি র্যাবিস ভ্যাকসিন দেওয়ার। খুব তাড়াতাড়ি আমরা এই লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে যাব।”
রিফ্লেক্টিভ কলার পথ দুর্ঘটনার হাত থেকে কুকুরকে রক্ষা করার পাশাপাশি মোটরবাইক আরোহী এবং অন্যান্যদেরও পরোক্ষভাবে রক্ষা করবে। কারণ রাতের অন্ধকারে রাস্তার উপর কোথাও কুকুর থাকলে তাদের গলায় থাকা ওই রিফ্লেক্টিভ কলার আলোর সামনে জ্বলজ্বল করে উঠবে। ফলে সহজেই বোঝা যাবে কিছু একটা রয়েছে। সুতরাং চালকরা আগে থেকেই সাবধান হতে পারবেন। এতে দুই পক্ষই উপকৃত হবে।