নিজস্ব প্রতিবেদন : পুরো দেশে লকডাউন জারি হয়েছে। আগামী ১৪ই এপ্রিল পর্যন্ত জারি থাকবে এই লকডাউন। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতেই মানুষকে ঘরবন্দী থাকতে অনুরোধ করা হচ্ছে বারংবার কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। কিন্তু মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ছে কই! মানুষ লকডাউনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দিব্যি মনের আনন্দে ঘুরছে।
এই সময় যারা সামনে থেকে যুদ্ধ করছেন তাদের মধ্যে আছেন ডাক্তার, নার্স সহ সকল স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ আর সাফাই কর্মীরা। আমরা যখন ঘরের মধ্যে থাকতে থাকতেই বিরক্ত হয়ে যাচ্ছি তখন সম্মুখ সমরে এই মানুষগুলো জীবন বাজি রেখে লড়ছেন। আর এদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞতা দেখানোর বদলে এদেরকেই আহত করছি। সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী একটি ভিডিওতে এই দেখা গেছে, ইন্দোরে ডাক্তার, নার্সদের উপর পাথর ছুঁড়ে হচ্ছে। উত্তর প্রদেশে পুলিশের উপর ছোঁড়া হয়েছে পাথর! অনেক জায়গায় দেখা যাচ্ছে ডাক্তার, নার্সদের বাড়ি ছাড়তে বাধ্য করছেন বাড়িওয়ালা। কি অদ্ভুত না! অথচ জনতা কারফিউয়ের দিন বিকেল পাঁচটাতে স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা, অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা ও সাফাইয়ের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের উদ্দেশ্যে সম্মান জানাতে আমরাই বারান্দায় দাঁড়িয়ে হাততালি, ঘন্টা বাজিয়েছি। কিন্তু আমার গোটা ভারতের মানুষ কিন্তু এমন নয়! মঙ্গলবার সকালে পাঞ্জাবের পাতিয়ালা জেলার নাভা শহরের ঘটনা বেশ ব্যতিক্রম এবং একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করার মতো।
Pleased to see the applause & affection showered by people of Nabha on the sanitation worker. It’s heartening to note how adversity is bringing out the intrinsic goodness in all of us. Let’s keep it up & cheer our frontline warriors in this War Against #Covid19. pic.twitter.com/tV2OwVa86w
— Capt.Amarinder Singh (@capt_amarinder) March 31, 2020
এখানে এক এলাকায় জঞ্জাল পরিস্কার করতে গিয়ে দুই সাফাইকর্মী অবাক হয়ে গেলেন। তাদের দেখতে পেয়েই স্থানীয় বাসিন্দারা একতলার ছাদ ও দুইতিনতলার বারান্দা থেকে ফুল ছুঁড়তে থাকেন। ইনাদের মধ্যে একজন তরুণ বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে একজন সাফাইকর্মীর গলাতে টাকার মালাও পরিয়ে দেন। এই মানবিক ভিডিও শেয়ার করার পর অনেকেই এটি শেয়ার করেন ও প্রচুর প্রশংসা করেন এই ঘটনার। বুধবার সকালে নিজের ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং এই ঘটনার ভিডিও শেয়ার করেন। ভিডিওটি শেয়ার করার সময় ক্যাপশনে তিনি লেখেন, “নাভা এলাকাতে মানুষরা সাফাইকর্মীদের যেরকমভাবে সম্মান জানিয়েছেন তাদের উৎসাহিত করতে এতে আমি খুব খুশি হয়েছি। বিপদের সময় আমাদের মধ্যে থাকা দেবত্ব কীভাবে প্রকাশ হয় এই ঘটনাটি তাই প্রমাণ করে দিল। এই মানসিকতাকে ধরে রাখুন আর করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে এই যুদ্ধে একদম সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে যারা লড়ছেন তাদেরকে আরও বেশি করে উৎসাহিত করুন।”