ভাত ছাড়া বাঙালি বাড়ি একবারে অসম্পূর্ণ। মধ্যবিত্তের হেসেলে একমাত্র সম্বল দুমুঠো ভালো মানের চাল। যা গুণগত ও দামের দিক থেকে হওয়া চাই উপযুক্ত। তবে এবার নতুন করে মধ্যবিত্তের কপালে পড়তে চলেছে চিন্তার ভাঁজ। বেড়ে গিয়েছে চালের দাম।
এবার কী তবে মধ্যবিত্তের হেসেলে টান পড়বে?
কারণ কেজি প্রতি চার থেকে ছ’টাকা বেড়েছে মিনিকেট চালের দাম। এই নিয়ে বিগত দুমাসে গড়ে চালের দাম বেড়ে হল কেজি প্রতি ১৫ টাকা থেকে ১৮ টাকা। যা স্বস্তির বার্তা দিচ্ছে না সাধারণ মানুষের মনে। রাইসমিল অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে মিডিয়েটারদের জন্য মূলত দাম বাড়ছে চালের।
আরও পড়ুন: Dog Bark: রাতে পাড়ার কুকুর কেঁদে উঠলে ভয় পান! কেন এমন করে ওরা জানেন?
বর্ধমানের বুকে মিনিকেট চালের লাগাম ছাড়া দামের পাশাপাশি দাম বেড়েছে সুগন্ধি গোবিন্দভোগ চালেরও। সাধারণ মানুষের মধ্যে যে চালের চাহিদা সবচেয়ে বেশি সেই মিনিকেট চালের দাম গত মাসে একলাফে ১০-১২ টাকা বেড়েছে। এর ফলে হোটেল রেস্তোরাঁও দাম বাড়বে ভাতের মিলের। তবে বাজারে মিনিকেট, গোবিন্দ ভোগ সহ অন্যান্য চালের দামও কিন্ত উর্ধমুখী। খোদ চাল উৎপাদনের ক্ষেত্র পূর্ব বর্ধমান জেলাতেই চালের দাম হু হু করে বাড়তে থাকায় ঘুম উড়েছে মধ্যবিত্তের।
চাল বিক্রেতাদের তরফে জানানো হয়েছে, চালের দাম এভাবে এতটা হঠাৎ করেই বেড়ে যাওয়াটা তাদের কাছে মোটেই স্বস্তির নয়। রোজকার ক্রেতাদের দামের কারণ বোঝানো বেশ মুশকিলের। খুচরো ব্যবসায় লগ্নি বাড়লেও লাভের মুখ তারা দেখতে পাচ্ছে না। তারা আরও বলেন, কৃষকের ঘরে ধান নেই এটা ঠিক কথা। কিন্তু চাল বিক্রির দায়িত্ব রাইস মিলারদের। যদি বাজারে মিনিকেট চালের ঘাটতি থাকে তাহলে চাল আসছে কীভাবে? যেভাবে চালের দাম বাড়ছে তাতে বাজার আরও উর্ধ্বমূখী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এক দোকানদার জানান, “রাজনীতির লোকেদের কোনও মাথাব্যাথা নেই। পকেটে টাকা ঢুকলে কাজ শেষ। একটা ডিমের দাম সাড়ে পাঁচ টাকা। ৬৪ টাকা কেজি চালের দাম। কী খেয়ে বাঁচব।”
নিত্যদিনের চাল হেসেলে তুলতে হিমশিম খেতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। দিনের শেষে দুমুঠো চালেও আগুন দাম। বছরের শুরুর দিকে মিনিকেট চালের দাম খুচরো বাজারে ছিল এক কেজি ৫০ টাকা। বর্তমানে তা দাঁড়িয়েছে ৬৪-৬৫ টাকায়। রত্না চালের দাম ছিল ৪৩ টাকা, গোবিন্দভোগ ছিল ৬৫-৭০ টাকা যা এখন মিলছে ১০০ টাকায়। এই পরিস্থিতিতে আমজনতা চাইছে সরকারি নজরদারি। তাহলে যদি কোনও সুরাহা হয়। রাইসমিল অ্যাসোসিয়েশনের ট্রেজারার কাঞ্চন সোম বলেছেন “রাইসমিলের তুলনায় বাজারে চালের দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে। মাঝে বেশ কয়েক হাত হয়ে চাল পৌঁছায় ক্রেতাদের কাছে। তার কারণেও দাম বাড়তে পারে চালের।”