৮৫ বছর বয়সেও লাঠি খেলায় সমানে চলছে দুহাত, ভিডিও ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়

Sangita Chowdhury

Updated on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : লকডাউনের কারণে জীবনযাত্রা থমকে গিয়েছে। করোনার আতঙ্কে বহু মানুষই ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। কিন্তু ঘরে খিল দেওয়া সম্ভব হলেও পেটে খিল দেওয়া সম্ভব হয় না। তাই পেটের তাগিদেই অনেক মানুষকে বেরোতে হয় রাস্তায়। ঠিক এরকমই একজন মানুষ শান্তা বাই। আটের ঘরে বয়স তাঁর। কিন্তু বয়সের তোয়াক্কা না করেই লকডাউনের দিনগুলিতেও তিনি রাস্তায় বেরিয়েছেন। পেট যে বড় বালাই!

করোনার কারণে যেখানে ষাটের বেশি বয়স্ক মানুষদেরকে ঘরের বাইরে বেরোতে মানা করা হয়েছে। সেখানে ৮৫ বছরের শান্তাবাই পুনের রাস্তায় রাস্তায় লাঠি খেলা দেখিয়ে বেড়াচ্ছেন রোজগারের জন্য। এই বয়সেও সমানতালে চলছে দুহাত। এত বয়সে আজও তাঁর দক্ষতা চোখে পড়ার মতো। তাঁর বয়সের ছাপ তাঁর খেলার মধ্যে পড়েনি। এখনো তার দুই হাত সমানে চলে। নিপুণ দক্ষতায় লাঠি খেলা দেখিয়ে তিনি মানুষের মন জয় করে নেন মুহূর্তের মধ্যেই।

শান্তাবাইয়ের লাঠিখেলার ভিডিওটি একজন মহিলা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করলে তা মুহূর্তের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যায়।তারপর সেই ভিডিওটি চোখে পড়ে বলিউডের অভিনেতা রীতেশ দেশমুখের। তিনি নিজে এরপর ভিডিওটি টুইট করে জানান যে, তিনি ওই বৃদ্ধার সাথে যোগাযোগ করতে চান তাকে যেন টুইটার ব্যবহারকারীরা সাহায্য করেন। পরে অভিনেতা আরেকটি টুইট করে জানান তিনি ওই বৃদ্ধার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পেরেছেন। এই বয়সে এসেও বৃদ্ধার লড়াই করার এই অদম্য মানসিকতাকে কুর্নিশ জানিয়ে অভিনেতা শান্তাবাইকে যোদ্ধা বলে উল্লেখ করেন।

শান্তাবাইয়ের এই দক্ষতা দেখে নেটাগরিকদের সাথে সাথে পুনের পুলিশ কমিশনার ও প্রশংসায় পঞ্চমুখ। শান্তাবাইয়ের প্রশংসা করে পুলিশ কমিশনার সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন ‘প্রতিভার সত্যিই কোনো সীমা হয় না।’

শান্তা বাইয়ের কথায়, “আট বছর বয়স থেকেই আমি লাঠি খেলা দেখাচ্ছি। আমার বাবা আমাকে কঠোর পরিশ্রম করতে শিখিয়েছিলেন। করানোর ভয়ে এই মুহূর্তে সকলেই ঘরে বন্দি। তাই আমি এখন লাঠি খেলা দেখাতে বেরোলে, বাসন বাজিয়ে সবাইকে ডেকে নিই।”

উল্লেখ্য, একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছিল যে শান্তাবাই একসময় বলিউডের ‘শেরনি’, ‘সীতা অউর গীতা’র মতো ছবিতে পার্ট করেছেন।