WhatsApp-এর নতুন পলিসির মাঝেই ডাউনলোডের হিড়িক Signal-এর

নিজস্ব প্রতিবেদন : বেশ কয়েক বছর আগেই Signal নামের একটি ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং সংস্থা একটি অ্যাপ এনেছিল। মূলত তারা এই অ্যাপ নিয়ে এসেছিল WhatsApp-কে প্রতিদ্বন্দিতায় ফেলতে। কিন্তু সেসময় তারা সেভাবে নজর কাড়তে পারেনি ব্যবহারকারীদের। তবে ইদানিং হঠাৎ এই অ্যাপ ডাউনলোড করার হিড়িক লক্ষ্য করা গেছে। এমনকি এই অ্যাপ এত বেশি ডাউনলোড ও অ্যাপে রেজিস্ট্রশন হচ্ছে যে সংস্থার তরফ থেকে বিবৃতি দিয়ে জানাতে হয়েছে, “প্রত্যেক গ্রাহকের পরিচয় খতিয়ে দেখার পরেই রেজিস্ট্রেশন করানো হচ্ছে। তাই বেশ কিছুটা সময় লাগছে।”

কিন্তু হঠাৎ করে কেন এই অ্যাপের ডাউনলোড সংখ্যা বাড়তে শুরু করলো? এর কারণ হিসেবে জানা গিয়েছে বহু ব্যবহারকারী WhatsApp-এর নতুন পলিসি নিয়ে সন্তুষ্ট নন। কারণ WhatsApp-এর নতুন পলিসিতে বলা হয়েছে ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য ফেসবুক এবং ফেসবুকের অন্যান্য অ্যাপ ও পরিষেবাকে দেওয়া হবে। আর এর ফলেই ব্যবহারকারীরা আশঙ্কা করছেন গোপন তথ্য ফাঁস হওয়ার।

Signal নামের মেসেজিং অ্যাপটি ২০১৪ সালে বাজারে আসার পর থেকেই ব্যক্তিগত তথ্য গোপন রাখার বিষয়ে জোর দেয়। এদের এই অ্যাপও WhatsApp-এর মতই এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন। অ্যান্ড্রয়েড, আইওএস সহ বিভিন্ন প্লাটফর্মে এই অ্যাপ ব্যবহার করা যায়। এই অ্যাপের প্রতিষ্ঠিত সংস্থা Signal ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছেন হোয়াটসঅ্যাপের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ব্রায়ান অ্যাকটন। কিন্তু ২০১৭ সালে তার সাথে হোয়াটসঅ্যাপের বিচ্ছেদ হয়।

Signal মেসেজিং অ্যাপে হোয়াটসঅ্যাপের মতো নানান সুবিধা থাকলেও এই অ্যাপ কথোপকথনের ব্যাকআপ রাখতে দেয় না গুগোল ড্রাইভ বা আইক্লাউডের মত অন্য কোন ক্লাউডে। পাশাপাশি এই অ্যাপে থাকা কোন গ্রুপে ব্যক্তির সম্মতি ছাড়া তাকে এড অর্থাৎ যোগ করানো যায় না।

সম্প্রতি WhatsApp-এর তরফ থেকে নতুন প্রাইভেসী পলিসি আনার পর তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করলেই Signal নামের ম্যাসেজিং অ্যাপটি ব্যবহার করার জন্য অনেকেই দাবি তুলেছেন। এমনকি বিশ্বের সবথেকে ধনীতম ব্যক্তিদের অন্যতম ইলন মাস্কও এই অ্যাপ ব্যবহার করার জন্য আবেদন জানিয়েছেন।