Since when has the special EVM machine been used for voting: ২০২৪ এর লোকসভা ভোট প্রায় চলে এসেছে সম্প্রতি ভোটের দিন ঘোষণা করা হয়েছে সামনের মাসে শেষের দিক থেকে শুরু হয়ে জুন মাসের এক তারিখ অব্দি ৭ দফায় ভোট হবে পশ্চিমবঙ্গে। বিভিন্ন দলের সমর্থকরা যে যার নিজের পছন্দের দলকে ভোট দিয়ে ভোটের এই লড়াইয়ে এগিয়ে নিয়ে যাবে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীদের। ভোট তো দেবেন কিন্তু ভোটটা দেবেন কিভাবে! ভোট দেবার সময় যে মেশিনটি (EVM) ব্যবহার করা হয় তার নাম কি? কে এটি আবিষ্কার করেছে? কোথায় বা প্রথম ব্যবহার করা হয়েছিল? এসব প্রশ্নের উত্তর কি আপনি জানেন? তাহলে চলুন আজ এই প্রশ্নগুলোর উত্তরই আপনাদের দেবো এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে।
১৯৯০ সাল পর্যন্ত ভারতে ভোটের সময় ভোট দেবার জন্য ব্যালট পেপার ব্যবহার করা হতো। কিন্তু এই ব্যালট পেপার অনেক সমস্যা সৃষ্টি করে। ব্যালট পেপারের মুদ্রণ, বহন, সংরক্ষণ এবং সবশেষে হাতে কলমে সেই ব্যালট পেপার গুনে ভোটের ফলাফল নির্বাচন করা বিষয়টি বেশ কঠিন, সময় সাপেক্ষ ও ঝুঁকিপূর্ণও বটে। আর এই ব্যালট পেপারের সুযোগে ভোট সংক্রান্ত ঘটে যাওয়া অনেক জালিয়াতির কাহিনীও শোনা যায়। এই জালিয়াতি বা অন্যান্য সমস্যা গুলিকে সমাধানের উদ্দেশ্যেই তৈরি করা হয় ইলেকট্রনিক ভোট মেশিন বা ইভিএম (EVM) ১৯৯০ সালের পর থেকে ভোট দেবার জন্য এই মেশিনটিকে ব্যবহার করা শুরু হয়। এই মেশিনটি ব্যবহার করলে ভোট দান প্রক্রিয়া তুলনামূলকভাবে দ্রুত গতিতে হয়।
ইভিএম (EVM) মেশিন এর নকশা তৈরি করেছেন দুই অধ্যাপক এজি রাও ও রবি পুভাইয়া। ইভিএম মেশিনটি নিয়ন্ত্রণ ইউনিট ও ব্যালটিং ইউনিট এই দুটি ভাগে বিভক্ত। বিভাগ দুটি একটি ৫ মিটার তার দ্বারা যুক্ত থাকে। একটি ইভিএম মেশিন সর্বাধিক ২০০০ টি ভোট রেকর্ড করতে পারে। সর্বাধিক ৬৪ জন প্রার্থীর নাম বা দলীয় প্রতীক একটি ইভিএম মেশিনে লেখা থাকতে পারে। বর্তমানে বিভিন্ন দলের প্রতীক চিহ্নের পাশাপাশি নতুন একটি অপশন চালু করা হয়েছে যার নাম নোটা বা কোনোটিই নয়।
আরও পড়ুন ? One Nation One Election: জানেন কবে থেকে চালু হবে ‘এক দেশ এক নির্বাচন’, সামনে এলো সম্ভাব্য সময়সূচি
ইভিএম (EVM) মেশিনের কন্ট্রোল ইউনিটটি পোলিং অফিসারের কাছে থাকে আর ব্যালোট ইউনিটটি থাকে ভোটিং কম্পার্টমেন্টে। প্রত্যেক ভোটার ভোট দেবার পর কন্ট্রোল ইউনিট থেকে পরবর্তী ভোটারের ব্যালট পেপার তৈরি করার জন্য একটি নির্দিষ্ট বোতামে চাপ দেন পোলিং অফিসার। এরপর সেই ভোটার ব্যালট ইউনিট থেকে তার পছন্দের প্রতীক চিহ্নর বোতাম টিকে চিপে ভোট দেয়। শেষ ভোটার ভোট দেবার সাথে সাথে প্রিসাইডিং অফিসার কন্ট্রোল ইউনিট থেকে ক্লোজ বোতামটি চিপে ভোট দান প্রক্রিয়া সমাপ্ত করে দেন।
ব্যালট পেপার তৈরি করা, বহন করা, সংরক্ষণ করা ইত্যাদির জন্য প্রচুর অর্থ ব্যয় করা হতো একসময়। এছাড়াও অনেক বেশি সংখ্যক গণনা কর্মীর প্রয়োজন হতো তাই তাদের পারিশ্রমিক পিছু বেশ কিছু টাকা খরচ হতো। ইভিএম (EVM) মেশিন চালু হবার পর থেকে এই খরচ অনেকটাই কমে গেছে। ভারতীয় নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে ইভিএম মেশিন নির্মাতারা একটি টোটেলাইজার ইউনিট তৈরি করেছেন যার ফলে কোন পৃথক ভোট কেন্দ্রের ভোটের পরিবর্তে একাধিক ব্যালটিং ইউনিটকে একত্রিত করে একটি বিধানসভা বা লোকসভার একত্রিত ভোট সংখ্যাকে প্রদর্শন করা সম্ভব হবে।