Teachers Suspension: দিনের পর দিন কাজে অবহেলা শিক্ষকদের! প্রাথমিকের ৬ শিক্ষককে বরখাস্ত করলো প্রশাসন

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টেও বজায় থাকল। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের রায় সিলমোহর পড়ে রাজ্যে চাকরি বাতিল হয়েছে ২৬ হাজার হাজার শিক্ষক সহ শিক্ষাকর্মীর। যা নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। রাজ্যের দিকে দিকে বিক্ষোভ-প্রতিবাদে সরব হয়েছেন চাকরিহারাদের একাংশ। ক্ষোভের আগুনে ফুসছে গোটা বাংলা। আর এই আবহের মাঝেই প্রাথমিকেও কোপ পড়লো।

প্রাথমিক শিক্ষকদের শাস্তি দেওয়ার অভিযোগ উঠে এসেছে। বারাণসীতে প্রাথমিক শিক্ষকদের কপালে জুটেছে শাস্তি। কর্মকর্তাদের তরফে বড় পদক্ষেপের ভিত্তিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মোট ৬ জন শিক্ষককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, এই ছয় জন শিক্ষকের মধ্যে কেউই সঠিক সময়ে বিদ্যালয়ে আসতেন না। ছাত্রছাত্রীদের যত্ন সহকারে পড়ানো তো দূরহস্ত এই ৬ জনের বিরুদ্ধে ভুড়িভুড়ি অভিযোগ জমা পড়েছিল।

আরও পড়ুন: Viral Story: হবু জামাইয়ের হাত ধরে পালালেন শাশুড়ি! উধাও নগদ টাকা সহ গয়না

স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে এই ৬ শিক্ষককে আগেই সতর্ক করা হয়েছিল। এরপর শাস্তি স্বরূপ মাসিক বেতনেও কোপ পড়ে তাদের। এতকিছুর পরেও টনক নড়েনি তাদের। সতর্ক হননি এই ছয়জন। এরপরেই প্রাথমিক শিক্ষা দফতরের কর্মকর্তাদের তরফে আরও জোরালো পদক্ষেপ নেওয়া হয়। ওই ছয় শিক্ষককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার পর জেলা আন্দোলনের পথে পা বাড়িয়েছে। অন্যান্য প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষকই আশঙ্কা প্রকাশ করছেন।

অভিযোগ উঠে এসেছে, এমন একাধিক শিক্ষকেরই শিক্ষার্থীদের পঠনপাঠনের বিষয়ে মনোযোগ ছিল না। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ডাঃ অরবিন্দ কুমার পাঠকের তরফে জানানো হয়েছে, কাশী বিদ্যাপীঠের প্রাথমিক বিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে একটি অভিযোগ সামনে আসে। অভিভাবকদের একাংশ তরফে অভিযোগ জানানো হয় সেখানে শিশুদের পঠনপাঠনের কোনও পরিবেশ নেই। শিক্ষকরা সঠিক সময় বিদ্যালয়ে আসেন না। তাই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে দফতরের তরফে গত ৭ মার্চ ইন্সপেকশনও করা হয়। তারপর তাদের বেতন বন্ধ করে দিয়ে সতর্ক করা হয়েছিল। এত সতর্কবার্তা মেলার পরেও পরিস্থিতি ছিল যে কে সেই।

একের পর এক অভিযোগ সামনে আসছিল, শিক্ষকদের পঠনপাঠনে কোনও আগ্রহ ছিল না। তারা তাদের কাজ ঠিক মতো করছিলেন না। ওই অভিযোগের আবহেই একটি ভিডিও ভাইরাল হয় তাদের। তারপর আবারও দফতর থেকে ইন্সপেকশন করা হয়। যদিও সেসময় ওই শিক্ষকদের বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়নি। এই পাহাড় সমান অভিযোগের মধ্যেই আশ্চর্যের বিষয় হল দফতরের তরফে ইন্সপেকশনে আসলে দেখা যায় ওই স্কুলে মাত্র ৯ জন ছাত্রছাত্রী উপস্থিত রয়েছে। এই বেহাল অবস্থা দেখে ইন্সপেকটরদের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছিল। রোজের লেখাপড়ার মান ক্রমেই নিচে নেমে যাচ্ছিলো।

দফতরের ইন্সপেক্টরদের চোখে শিক্ষকদের এই গরিমসি ধরা পড়তেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয় প্রাথমিক শিক্ষা বিষয়ক দফতরের তরফে।তারপরই জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার তরফে বড় ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রাথমিক বিদ্যালয় এর তরফে বালিপুরের ৬ জন শিক্ষককে সাসপেন্ড করা হয়। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, দফতরের তরফে এই বিরাট পদক্ষেপ নিতে দেখার পর থেকেই বাকি সব স্কুলে কাজে অবহেলা করা শিক্ষকদের মধ্যেও আতঙ্ক বিরাজ করছে। জেলায় শিক্ষকদের অনেকে প্রশাসনের এই পদক্ষেপের বিরোধিতাও করেছেন।