শোভনের বাড়ি কিনে নিলেন বৈশাখী, রত্নাকে বের হতে বলতেই তুমুল লড়াই

নিজস্ব প্রতিবেদন : আবারও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠলেন শোভন বৈশাখী জুটি। অন্যদিকে স্বাভাবিকভাবেই তাদের এই আলোচনায় উঠে এলেন শোভনের স্ত্রী রত্না চ্যাটার্জী। আসলে তাদের নতুন করে আলোচনায় উঠে আসার কারণে রয়েছে শোভনের বেহালার বাড়ি বৈশাখীর কিনে নেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে। জানা গিয়েছে শনিবার এই বাড়িটি বৈশাখী ব্যানার্জির নামে হস্তান্তরিত হয়েছে।

শোভন চ্যাটার্জীর বেহালার এই বাড়ি বৈশাখী ব্যানার্জির নামে হস্তান্তরিত হতেই তিনি রত্না চ্যাটার্জীকে সসম্মানে বাড়ি ছেড়ে দিতে পরামর্শ দিয়েছেন। আর এই বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার পরামর্শ দিতেই শুরু হয়েছে তুমুল লড়াই। বৈশাখী ব্যানার্জি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, সসম্মানে বাড়ি না ছাড়লে আইনি পদক্ষেপ নেবেন। অন্যদিকে রত্না চ্যাটার্জীও থেমে থাকার পাত্রী নন। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ‘ক্ষমতা থাকলে বের করে দেখাক’।

শোভন চ্যাটার্জি এই বাড়ি বিক্রি করার মূলে রয়েছে আর্থিক সংকট বলেই জানা যাচ্ছে সূত্র মারফত। রত্নার সঙ্গে ডিভোর্স সহ আরও একাধিক মামলায় তাকে খরচ চালাতে হচ্ছে। কিন্তু বর্তমানে তেমন কোন রোজগার না থাকার কারণে আর্থিক দিক দিয়ে সমস্যায় পড়েছেন শোভন বাবু। এই মত অবস্থায় বৈশাখী ব্যানার্জি শোভন চ্যাটার্জিকে আর্থিক সাহায্যের প্রস্তাব দেন।

বৈশাখী ব্যানার্জির এই আর্থিক সাহায্যের বিনিময় শোভন চ্যাটার্জি তার বেহালার এই বাড়িটি বৈশাখী ব্যানার্জির নামে লিখে দিয়েছেন। বেহালার এই বাড়িতে শোভন চ্যাটার্জি বিয়ের আগে থেকেই থাকতেন। এখন সেই বাড়িতে থাকেন তার স্ত্রী রত্না চ্যাটার্জী এবং ছেলে মেয়ে। বাড়িটি এক কোটি টাকার বিনিময়ে শোভন চ্যাটার্জি বৈশাখী ব্যানার্জিকে দিয়েছেন।

বাড়ির মালকিন বৈশাখী ব্যানার্জি হওয়ার পর তিনি জানিয়েছেন, “শোভনকে আমি বলেছিলাম আমার সমস্ত কিছু ব্যবহার করতে। কিন্তু উনি বিনামূল্যে তা করতে নারাজ। বর্তমানে তার তেমন কোনো আয় না থাকায় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। তাই আমার কাছে বেহালার বাড়িটি বিক্রি করে দিয়েছেন।”

আর এর পরেই তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, যেহেতু তিনি বর্তমানে ওই বাড়ির মালিক তাই তিনি ওই বাড়িতে কোনোভাবেই রত্না চ্যাটার্জীকে থাকতে দেবেন না। তবে তার ছেলে মেয়ে যদি তার মায়ের সাথে সম্পর্ক ত্যাগ করে থাকতে চান তাহলে থাকতে পারবেন।

অন্যদিকে এই হুঁশিয়ারি পর রত্না চ্যাটার্জী পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছেন, “ক্ষমতা থাকলে আমাকে বের করে দেখাক। সবকিছু এত সহজ নয়। আমৃত্যু আমি এবং আমার সন্তানরা এই বাড়িতেই থাকবে।” মোটের উপর বাড়ির মালিকানাধীন পরিবর্তনকে কেন্দ্র করে নতুন করে লড়াই শুরু হয়েছে বৈশাখী ব্যানার্জীএবং রত্না চ্যাটার্জির মধ্যে। এখন দেখার বিষয় এই লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত কে শেষ হাসি হাসেন।