মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় বাড়ল গরমের ছুটি, স্কুল খুলবে এই তারিখে

নিজস্ব প্রতিবেদন : চলতি বছর মে মাসের ২ তারিখ থেকে শুরু হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের সরকারি স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি (Summer vacation)। তীব্র তাপপ্রবাহের (Heatwave) কারণে সরকার এই বছর আগাম স্কুলে (School) গরমের ছুটি ঘোষণা করেছিল। ঘোষণা করেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay)। তবে ছুটি ঘোষণা করলেও কবে পুনরায় স্কুল খুলবে তা ঘোষণার সময় জানাননি মুখ্যমন্ত্রী।

এরই মধ্যে গত সোমবার শিক্ষা দফতরের (School Education Department) তরফ থেকে পুনরায় স্কুল খোলার দিন ঘোষণা করে। ঘোষণা করা হয় জুন মাসের ৫ তারিখ থেকে পুনরায় স্কুল দরজা খুলে দেওয়া হবে। মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলগুলি খুলবে ৫ জুন আর প্রাথমিক স্কুল খুলবে ৭ জুন। কিন্তু শিক্ষা দপ্তরের এই ঘোষণার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই নতুন ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।

জুন মাসের শুরু থেকে রাজ্যে পুনরায় তাপপ্রবাহের সর্তকতা জারি করা হয়েছে। হাওয়া অফিসের তরফ থেকে তাপপ্রবাহের এই সর্তকতা জারি করার পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুনরায় স্কুল খোলার দিন পিছিয়ে দিলেন। জুন মাসের শুরু থেকেই রাজ্যের দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় নতুন করে তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রী পার করতে পারে আর এই পরিস্থিতিতে পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুনরায় স্কুল খোলার দিনক্ষণ পিছিয়ে দিয়েছেন।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, ৫ জুন নয়, ১৫ জুন খুলবে স্কুল। শিক্ষা দপ্তরের তরফ থেকে স্কুল পরিচালনার জন্য যে ছুটির তালিকা প্রকাশ করা হয় সেই তালিকা অনুযায়ী এই বছর ২৪ মে গরমের ছুটি পড়ার কথা ছিল। কিন্তু তীব্র তাপ পরিবাহীর কারণে সেই ছুটি এগিয়ে আনা হয়েছিল ২ মে। আবার স্কুল খোলার দিন নতুন করে পিছিয়ে যাওয়ায় প্রায় দেড় মাস বন্ধ থাকবে রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলি।

হাওয়া অফিসের তরফ থেকে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, ২ জুন থেকে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় তাপপ্রবাহের সর্তকতা রয়েছে। ওই দিন পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং পশ্চিম বর্ধমানে তাপপ্রবাহ চলবে। পরদিন অর্থাৎ ৩ জুন পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং নদিয়ায় তাপপ্রবাহে ভুগতে হবে বাসিন্দাদের। দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের মালদা এবং দুই দিনাজপুরেও তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস রয়েছে।