‘হাফ লাখ ভোটে মাননীয়াকে হারাবোই, নইলে রাজনীতি ছেড়ে দেবো’, চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

নিজস্ব প্রতিবেদন : শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপিতে যোগদানের পর তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার প্রথম নন্দীগ্রামে পা রাখেন এবং সভা থেকে ঘোষণা করেন নন্দীগ্রাম থেকে তিনি প্রার্থী হবেন আসন্ন নির্বাচনে। আর এই ঘোষণার সাথে সাথেই শুভেন্দু অধিকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে জানান, ‘হাফ লাখ ভোটে মাননীয়াকে হারাতে না পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেবো’।

এদিন টালিগঞ্জ থেকে রাসবিহারী পর্যন্ত বিজেপির তরফ থেকে মহামিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল। মিছিলের কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারীর মত গেরুয়া শিবিরের প্রথম সারির নেতারা। আর এই মিছিল শেষে রাসবিহারীতে সভা মঞ্চ থেকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণাকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়ার পাশাপাশি তৃণমূলের দুর্নীতি নিয়েও এদিন সরব হন শুভেন্দু অধিকারী।

শুভেন্দু অধিকারীর সভা মঞ্চ থেকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, “আমি আপনাদের কাছে কথা দিতে পারি। নন্দীগ্রামে যদি মাননীয়া দাঁড়ান। পদ্মফুলটা নিয়ে আমাকে দিক অথবা অন্য কাউকে দিক। যাকেই দিবেন, লিখে রাখুন আজকের সন্ধ্যা বেলা ঘড়িতে টাইম দিয়ে, ডেট দিয়ে। আপনারা লিখে রাখুন। হাফ লাখ ভোটে যদি মাননীয়াকে হারাতে না পারি আমি রাজনীতি ছেড়ে দেবো। আমি রাজনীতি ছেড়ে দেবো। আপনি লিখে রাখুন।”

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের হয়ে প্রার্থী হিসাবে জয়লাভ করেছিলেন বর্তমান বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি এই বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ৬৭.২% ভোট পেয়েছিলেন। মোট প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ছিল ১ লক্ষ ৩৪ হাজার ৬২৩। জয়ের ব্যবধান ছিল ৫৩৩৯৩। অর্থাৎ শুভেন্দু অধিকারী জয়লাভ করেছিলেন হাফ লাখের বেশি ভোটেই। এদিনের তার বক্তব্যে সেই হাফ লাখ প্রসঙ্গ উঠে আসে। যার পরেই রাজনৈতিক মহলের বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন শুভেন্দু অধিকারী নিজের ভোট ধরে রাখার বিষয়ে অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী।