নিজস্ব প্রতিবেদন : পশ্চিমবঙ্গের যে সকল পর্যটন কেন্দ্র এবং তীর্থক্ষেত্র রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো তারাপীঠ (Tarapith)। যোগাযোগ ব্যবস্থা থেকে শুরু করে অন্যান্য বিভিন্ন দিক দিয়ে ব্যাপক সুযোগ-সুবিধা থাকায় তারা মায়ের চরণে প্রতিদিনই দূর দূরান্ত থেকে পুণ্যার্থীদের ভিড় জমাতে দেখা যায়। এরই মধ্যে এবার রাজ্য এমন এক পদক্ষেপ নিল যাতে করে পর্যটকরা তারাপীঠ এসে ‘এক ঢিলে দুই পাখি’ মারতে পারবেন।
আসলে যে প্রকল্পের (Tarapith New Project) কথা বলা হচ্ছে সেই প্রকল্পের পরিকল্পনা হয়েছিল ২০১৭ সালেই। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay) বীরভূম সফরে এসেছিলেন এবং তখনই এমন পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর পরিকল্পনা অনুযায়ী পুণ্যার্থীরা সিদ্ধপীঠ তারাপীঠে এসেই যেন ৫১ পীঠের দর্শন পান।
এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলেই পূর্ণ্যার্থীরা তারাপীঠে এসে যেমন তারা মায়ের দর্শন করতে পারবেন, ঠিক সেই রকমই আবার ৫১ সতী পিঠের দর্শনও করতে পারবেন। মুখ্যমন্ত্রী এই কাজের দায়িত্ব দিয়েছিলেন টিআরডিএ অর্থাৎ তারাপীঠ রামপুরহাট ডেভেলপমেন্ট অথরিটিকে। কিন্তু সাত বছর পেরিয়ে গেলেও এই কাজে গতি আসেনি। মূলত জমি সংক্রান্ত সমস্যা থাকার কারণেই কাজে গতি আসেনি। তবে এবার জমি সংক্রান্ত সমস্যায় ছাড়পত্র মিলতেই কাজে গতি এসেছে।
আরও পড়ুন ? বদলে গেল তারাপীঠে তারা মায়ের পুজো দেওয়ার নিয়ম! এবার আর করা যাবেনা এই কাজ
তারাপীঠ দর্শনের পাশাপাশি ৫১ সতী পীঠ দর্শনের জন্য যে প্রকল্প তৈরি করার কথা ভাবা হয়েছে সেই প্রকল্পটি তৈরি হবে রামপুরহাটের চিলাব্রীজ এলাকায়। এই প্রকল্পকে বাস্তবায়িত করার জন্য ৩১ একর জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে আইনের সমস্যার কারণে সেই সকল জমি নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। এখন সেই জটিলতা কেটে গিয়েছে এবং কাজ খুব তাড়াতাড়ি শুরু হয়ে যাবে বলে জানা যাচ্ছে।
যে জায়গাটি চিহ্নিত করা হয়েছে সেই জায়গাটি বনদপ্তরের হাতে ছিল এবং সেটি এখন টিআরডিএ-কে হস্তান্তরিত করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ৫১ পীঠের আদলে মন্দির নির্মাণের জন্য ডিপিআর তৈরীর কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে এই প্রকল্প পুরোপুরি বাস্তবায়িত হতে সময় লাগবে। যা জানা যাচ্ছে তাতে সবকিছু ঠিকঠাক চললে আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই তারাপীঠ নতুন এই প্রকল্প হাতে পেয়ে যাবে। এই প্রকল্প তৈরি হলে বীরভূমের পর্যটন মানচিত্রে বড় বদল আসবে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। পাশাপাশি তারাপীঠের গুরুত্ব আরও কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে।