গ্রাহকদের চাহিদা পূরণই লক্ষ্য, অর্থমন্ত্রীর কাছে এই সকল দাবি জানালো টেলিকম সংস্থাগুলি

নিজস্ব প্রতিবেদন : বর্তমানে দেশ যে দিকে এগিয়ে চলেছে তাতে প্রতি ক্ষেত্রেই জায়গা করে নিচ্ছে ডিজিটাল পদ্ধতি। এই সকল ডিজিটাল পদ্ধতি জায়গা করে নেওয়ার পাশাপাশি দিন দিন প্রতিটি নাগরিকদের হাতে এসে পৌঁছাচ্ছে স্মার্টফোন এবং সিম কার্ড। এমন পরিস্থিতিতে যাতে গ্রাহকদের চাহিদা পূরণ করা যায় তার জন্য কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর কাছে একাধিক দাবি-দাওয়া জানালো টেলিকম সংস্থাগুলি। আগামী মাস অর্থাৎ ফেব্রুয়ারি মাসেই রয়েছে কেন্দ্রীয় বাজেট অধিবেশন। তার আগে টেলিকম সংস্থাগুলির এই সকল দাবি-দাওয়া বেশ উল্লেখযোগ্য বলেই মনে করা হচ্ছে।

প্রতিবছর বাজেট অধিবেশন পেশ করার আগে বিভিন্ন সংস্থার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক এবং অর্থমন্ত্রীর কাছে বিভিন্ন সুপারিশ জমা দেয়। সেই মতো এবারও টেলিকম ইন্ডাস্ট্রি সংস্থা সিওএআইয়ের তরফ থেকে নিজেদের বেশকিছু দাবি-দাওয়া নিয়ে সুপারিশ জমা দেওয়া হয়েছে। এই সংস্থার সদস্যরা হল ভোডাফোন আইডিয়া, এয়ারটেল, জিও। এই সুপারিশের মধ্য দিয়ে দাবি করা হয়েছে, সরকার যাতে দ্রুত ইউনিভার্সাল সার্ভিস অবলিগেশন ফান্ড বন্ধ করে না দেয়। তাতে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে পরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রে সহযোগিতা হতে পারে।

এর পাশাপাশি এই সকল টেলিকম সংস্থাগুলির তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, যে ৩৫ হাজার কোটি টাকার যে ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট বা আইটিসি জমা রয়েছে তা যেন ফেরত দিয়ে দেওয়া হয়। কারণ এই অর্থ ভবিষ্যতে ব্যবহার করার কোনো সম্ভাবনা নেই। এই অর্থ গ্রাহকদের পরিষেবা, অভিজ্ঞতা আরও ভাল করতে এবং ডিজিটাল ইন্ডিয়ার স্বপ্ন পূরণে সাহায্য করবে।

এর পাশাপাশি লাইসেন্স ফি ছাড়ের ক্ষেত্রেও দাবি তোলা হয়েছে এই সংস্থার তরফ থেকে। বর্তমানে যে নিয়ম রয়েছে তাতে টেলিকম সংস্থাগুলির লাভের অংশ থেকে ৮ শতাংশ লাইসেন্স ফি বাবদ সরকারকে দিতে হয়। যাকে অ্যাডজাস্টেড গ্রস রেভেনিউ বলা হয়ে থাকে। এর পাশাপাশি একইভাবে বরেডিয়োওয়েভের উপর স্প্রেকটাম ইউজ চার্জের ক্ষেত্রেও ছাড় দেওয়ার দাবি তোলা হয়েছে।

এই সকল দাবি-দাওয়ার মধ্যে ইতিমধ্যেই রেডিয়োওয়েভের উপর স্প্রেকটাম ইউজ চার্জ, যা আগামী দিনে নিলামের মধ্যে কিনতে হয় তাতে ছাড় দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে এই টেলিকম সংস্থা এবং সাধারণ মানুষের ডিজিটাল চাহিদা পূরণ করা যাবে বলেও জানিয়েছে তারা।