বিবাহবার্ষিকীতে স্ত্রীকে ইউনিক উপহার, কিনে দিলেন চাঁদে জমি

নিজস্ব প্রতিবেদন : ‘চাঁদ কেন আসে না আমার ঘরে’। বাংলায় খুবই জনপ্রিয় এই গান। তবে এই গানে চাঁদ ঘরে না আসার কথা বলা হলেও বিবাহবার্ষিকীতে নতুন কিছু করে দেখানোর পরিকল্পনা নিয়ে স্ত্রীকে চাঁদের জমি কিনে দিলেন এক যুবক। ওই জমি আবার এক-দু কাঁঠা নয়, একেবারে এক একর। অবিশ্বাস্য হলেও এটাই সত্যি।

বিবাহ বার্ষিকীতে স্ত্রীকে এমন উপহার দিয়েছেন যিনি তিনি হলেন প্রদীপন সাধুখাঁ। প্রদীপন সাধুখাঁর এটাই ছিল প্রথম বিবাহ বার্ষিকী। পেশায় তিনি একজন ব্যাঙ্ক কর্মী। তিনি নদীয়ার রানাঘাটের বাসিন্দা হলেও কর্মসূত্রে বর্তমানে তিনি রয়েছেন বীরভূমের নলহাটিতে। সেখানের পশ্চিমবঙ্গ গ্রামীণ ব্যাঙ্কে তিনি কর্মরত। অন্যদিকে প্রথম বিবাহ বার্ষিকীতে এমন নতুন ধরনের উপহার পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই খুশিতে আত্মহারা স্ত্রী অনুরিমা প্রামানিক সাধুখাঁ।

প্রদীপন জানিয়েছেন, “আমি আমার স্ত্রীকে একটি ইউনিক জিনিস উপহার দিয়েছি। আমাদের প্রথম বিবাহবার্ষিকীতে চাঁদে জমি কিনে দিতে পেরেছি। জিনিসটা আমার কাছে খুব ইউনিক লেগেছে বলেই আমি এই নতুন ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছি।”

প্রদীপনের থেকে জানা গিয়েছে, চাঁদের মাটিতে এক একর জমি কিনতে তার খরচ হয়েছে ৪৫.‌৫ ডলার অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় যা সাড়ে ৬ হাজার টাকার কাছাকাছি। জমি কেনার সেই স্যাটেলাইট ছবি এবং সেই সংক্রান্ত নথিপত্র পাঠানো হয়েছে প্রদীপন সাধুখাঁকে। গত বছর নভেম্বর মাসেই ছিল তাদের এই বিবাহ বার্ষিকী এবং সেই বিবাহ বার্ষিকীতে স্ত্রীকে চমক দিতেই এই পরিকল্পনা প্রদীপন বাবুর।

প্রথম বিবাহ বার্ষিকীতে স্বামীর থেকে এমন ইউনিক উপহার পাওয়ার পর স্ত্রী অনুরিমা জানিয়েছেন, “এটা এমন একটা গিফট, যা হয়তো ধরতে পারবো না, ছুঁতেও পারব না শুধু অনুভব করব। অনেক সময়ই আবদার করে স্ত্রীদের বলতে দেখা যায় আকাশের চাঁদ এনে দাও। অনেকটা রূপকথার মতো হলেও প্রত্যেক স্ত্রীরাই হাজবেন্ডের কাছ থেকে রোমান্টিক কিছু আশা করেন। যে কারণে এই উপহার এমন একটা স্পেশাল উপহার যা আমি ভাষায় বলতে পারবো না।