উত্তরাখণ্ড রাজ্যের চোরাবাড়ি হিমবাহের কাছে, মন্দাকিনী নদীর তীরে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩,৫৮৩ মিটার উপরে অবস্থিত দেশের বিখ্যাত ও হিন্দু ধর্মের গুরুত্বপূর্ণ মন্দির, কেদারনাথ মন্দির (Kedarnath Temple)। ভারতের বারোটি জ্যোতির্লিঙ্গের (Jyotirlinga) মধ্যে এটি একটি অন্যতম। যার উল্লেখ মহাভারতেও রয়েছে। উল্লেখ্য, কেদারনাথ মন্দির হল ভগবান শিবের (Lord Shiva) পবিত্র ধাম, উত্তরাখণ্ড চারধাম যাত্রার অন্যতম অবিচ্ছেদ্য অংশ। আর যার কোনায় কোনায় লুকিয়ে আছে একাধিক রহস্য Mysterious Kedar nath temple)।
প্রতিবছর সারা বিশ্ব থেকে প্রচুর সংখ্যক ভক্তরা উত্তরাখণ্ডে আসেন কেদারনাথ মন্দির দর্শন করতে। তারা বিশ্বাস করে যে কেদারনাথে এলে মানুষের মনের ইচ্ছা পূরণ হয়। কেদারনাথ মন্দিরটি ভারতের বারোটি জ্যোতির্লিঙ্গের মধ্যে একটি এবং মহাভারতেও এর উল্লেখ রয়েছে। এই কেদারনাথ মন্দিরের সাথে জড়িয়ে আছে বহু পৌরাণিক কাহিনী ও কিছু অজানা রহস্য।
কথিত আছে, কেদারনাথ ধামের দরজা ছয় মাসের জন্য বন্ধ হয়ে গেলেও সেখানে একটি অক্ষয় প্রদীপ জ্বালানো হয়। ছয় মাস বন্ধ থাকার ফলে মন্দির ও তার আশেপাশে কেউ থাকেনও না। সেই সঙ্গে তীব্র ঠান্ডা ও পুরু বরফের মধ্যে কেউ থাকার কথাও নয়। তবুও আশ্চর্যভাবে একটি ঘটনা ঘটে।
আশ্চর্যের বিষয় হল, ছয় মাস পর দরজা খোলার পর ওই অক্ষয় প্রদীপটি ঠিক সেইভাবেই জ্বলতে থাকে। টানা ৬ মাস ধরে সেই প্রদীপ জ্বলতে থাকে। বলা হয় কেদারনাথে ছয় মাস মানুষে পূজো করে এবং ছয় মাস দেবতারা পূজো করে। তাছাড়া, ১৩ থেকে ১৭ শতকে এই মন্দির প্রায় ৪০০ বছর বরফের তলায় ছিল কিন্তু অবাক করার মত বিষয় যখন ৪০০ বছর পর যখন বরফের তলা থেকে এই মন্দির বেরোয় তখন মন্দির একদম ঠিক ছিল।
যে কোনও দুর্যোগ বা ধ্বংসলীলায় মন্দির সুরক্ষিত এবং অবিনশ্বর। ২০১৩ সালে বিধ্বংসী হড়পা বানে কেদারনাথ শহরের প্রচুর ক্ষতি হয়েছিল। গোটা পার্বত্য অঞ্চল বিধ্বংসী ভূমিধস এবং বন্যার শিকার হলেও, এক আলৌকিক কারণে পাহাড় থেকে নেমে আসা বিশাল পাথর নেমে এসে দাড়িয়ে যায় মন্দিরের পেছনে। যার ফলে পুরো জলের তোড় থেকে রক্ষা পায় কেদার নাথ মন্দির।