এতটাই প্রাণের ভয় ছিল, শোয়ার ঘরে জানলা রাখতেন না ভাদু শেখ

নিজস্ব প্রতিবেদন : এক তৃণমূল উপপ্রধান খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে যেভাবে উত্তপ্ত হয়েছে বীরভূমের রামপুরহাট, তা নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা দেশকে। সম্প্রতি গত সপ্তাহের সোমবার রাতে তাকে বোমা মেরে খুন করা হয়। তার খুনের ঘটনার পরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বগটুই। মারা যান আরও ১১ জন (সরকারিভাবে ৯)।

তবে উপপ্রধান খুন এবং তার পরবর্তী ঘটনা যতটা নাড়িয়ে দিয়েছে বাংলা সহ গোটা দেশকে, ততটাই আবার নতুন নতুন বিষয় উঠে এসেছে এই সকল ঘটনাকে কেন্দ্র করে। উঠে এসেছে ভাদু শেখের আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হওয়ার মতো ঘটনা, উঠে এসেছে আনারুল হোসেনের বেতাজ বাদশা হওয়ার ঘটনা।

তবে সে যাইহোক ভাদু শেখ যতই আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বা বেতাজ বাদশা হোক না কেন, তাকে সবসময় তাড়া করে বেড়াতে মৃত্যু ভয়। তিনি সবসময়ই খুব হয়ে যাওয়ার আতঙ্কে জীবনযাপন করতেন। এমনকি মৃত্যুর আগেও নিরাপত্তার জন্য তিনি একবার রামপুরহাট থানায় নিরাপত্তারক্ষী চেয়ে আবেদন জানান।

ভাদু সেখের পরিবারের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, কয়েক মাস আগেই তার দাদা বাবর শেখকে দুষ্কৃতীরা গুলি করে খুন করে। এই ঘটনার পর থেকেই নিজের মধ্যে প্রাণভয় তৈরি হয়েছিল ভাদু শেখের মধ্যে এবং তিনি নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষী নিয়েও ঘোরাফেরা করতেন। তবে এরই মধ্যে তার প্রাসাদোপম বাড়ি থেকে মিলেছে নতুন তথ্য।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভাদু শেখ বাড়ির তিনতলায় থাকতেন। যে ঘরে তিনি শুতেন সেই ঘরে কোন রকম জানলা ছিল না। তিনতলার ওই ঘর ছাড়াও দোতলার একটি ঘরও ব্যবহার করতেন ভাদু শেখ। সেই ঘরে আগে একটি জানালা ছিল। কিন্তু পরে সেই জানালা বন্ধ করে দেন ভাদু। সিমেন্ট দিয়ে জানালা বন্ধ করে দিলেও সেই কার্নিশ কিন্তু এখনো থেকে গেছে।