ভাইরাস থেকে বাঁচতে নোট ব্যবহারেও মানুন সতর্কতা, বলছে সমীক্ষা

নিজস্ব প্রতিবেদন : বর্তমান পরিস্থিতিতে ভীতির অপর নাম হয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। চীন থেকে এই ভাইরাসের সংক্রমণের শুরু। চীনে এই ভাইরাসে সংক্রমণের সংখ্যা দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। ভারতেও এই ভাইরাসের প্রকোপ দেখা গেছে। ভারতে এখন অব্দি করনা সংক্রমণের সংখ্যা ৩১। যদিও জানা গেছে যে ভারতে বসবাসকারীদের মধ্যে এই রোগ হয়নি। যাদের মধ্যে এই রোগের লক্ষণ দেখা গেছেন তারা প্রত্যেকেই বিদেশ ঘুরে এসে ভারতবর্ষে এসেছেন। শুধু ভারতই নয় ইরাক, ইরান, আমেরিকা, ইতালির মত দেশেও এই ভাইরাসের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

ভারত সরকার ইতিমধ্যে এই ভাইরাস নিয়ে নির্দেশিকা জারি করেছে। বলা হয়েছে, এই ভাইরাসকে রোধ করতে গেলে আক্রান্ত মানুষজন বা পশু পাখির থেকে দূরে থাকতে হবে। এছাড়া বারংবার গরম জলে চোখ মুখ ধোয়ার কথা বলা হয়েছে। অ্যালকোহল বেসড সাবান দিয়ে বারবার হাত ধুতে বলেছেন। হাঁচি কাশির সময় রুমাল ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। এই ভাইরাসের সংক্রমণ আটকাতে যত্রতত্র থুতু ও মলমূত্র ত্যাগ করতে নিষেধ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই যোগী সরকার এই ভাইরাসের আতঙ্কের ফলেই একটি নির্দেশিকা জারি করে সরকারি কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন যে বিভিন্ন অফিসে তারা যেন থুতু দিয়ে ফাইলের পাতা না ওল্টান। সংক্রামক রোগের থেকে বাঁচতে এগুলি আমাদের করণীয়। অযথা আতঙ্ক ছড়াতে ও মানা করা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।

কিছু সর্তকতা অবলম্বন করলেই এই আতঙ্কের পরিস্থিতিতে আমরা স্বাভাবিক ও সুস্থ থাকতে পারবো। তবে আপনি হয়তো জানেন না যে আমাদের ভারতীয় নোটের মধ্যেও এই ব্যাকটেরিয়া বিরাজমান।

সত্যি। জি বিজনেস নামের একটি সর্ব ভারতীয় নিউজ ওয়েবসাইটে দেখানো হচ্ছে, ভারতীয় নোটগুলিতে ব্যাক্টেরিয়া রয়েছে। রিসার্চের মাধ্যমে জানা গেছে ভারতীয় নোটগুলিতে ফাঙ্গাস ও প্রোটোজোয়া নামের ব্যাকটেরিয়া রয়েছে।

ভারতের ১০, ২০, ১০০ টাকার নোটগুলির উপর এই পরীক্ষা চালানো হয়েছিল তারপর দেখা গেছে যে ৭০ শতাংশের কাছাকাছি ফাঙ্গাস ও প্রোটোজোয়া থাকতে পারে নোটের ওপর। ৯% ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে এই নোটের মধ্যে। নোটের কাগজ অত্যন্ত দামী মানের হলেও দীর্ঘদিন এই ব্যাকটেরিয়া এই নোটের মধ্যে থেকে যেতে পারে।

বিজ্ঞানীরা আরও জানাচ্ছেন যে, নোটটি কত বছরের পুরনো বা নোটটি কতবার হাত বদল করে এসেছে তার ওপর ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ নির্ভর করছে। প্রায়শই দেখা যায় মুদির দোকান, হকারদের কাছ থেকে আমরা টাকাপয়সা লেনদেন করি। আর সেই টাকা পয়সা আবারও বহু জায়গায় হাত ঘুরে ফিরে আসে। এর ফলে সেই নোটের উপর অবস্থিত ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে।

তবে সারা পৃথিবী নোটের মধ্যেই কমবেশি ব্যাকটেরিয়া রয়েছে। তবে জানেন সবথেকে বেশি ব্যাকটেরিয়া কোন দেশের নোটে রয়েছে?
প্যালেস্টাইনের নোটে ৯৬.২৫ শতাংশ,
দক্ষিণ আফ্রিকার নোটে ৯০ শতাংশ,
কলম্বিয়ার নোটে ৯১.১ শতাংশ,
মেক্সিকোর নোটে ৬৯ শতাংশ, সৌদি আরবের নোটে ৮৮ শতাংশ।

এখন নোটে ভাইরাস রয়েছে তা তো জানলেন, কিন্তু এর থেকে মুক্তি কিভাবে পাবেন? দুটি পথ রয়েছে।

প্রথমত, ক্যাশলেস পেমেন্ট করুন। ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড ব্যবহার করুন। বৈজ্ঞানিকরা যদিও এই একটি মাত্র পথের কথাই বাতলেছেন। এখন যদি একান্তই বাধ্য হয়ে আপনাকে খুচরো পয়সা লেনদেন করতে হয় তাহলে দ্বিতীয় পথটি অবলম্বন করতে পারেন, যদিও প্রথম পথটির মতো এটি ততটা নিরাপদ ও সহজ নয়।

দ্বিতীয়ত, নোট ব্যবহার করার পর বাড়িতে এসে গরম জলে সাবান দিয়ে ভালো করে হাত ধুয়ে নিন। নোট দেওয়া নেওয়ার পর হাত মুখে, চোখে বা অন্য কোন অংশে লাগাবেন না ও নোটে হাত দেওয়ার পর হাত না ধুয়ে খাবার কখনোই খাবেন না।