ঘোষণার ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই পৌষ মেলা নিয়ে সংশয়! সামনে এলো ৫ কারণ

নিজস্ব প্রতিবেদন : বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে এখন কবিগুরু প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন সঞ্জয় কুমার মল্লিক। ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে সঞ্জয় কুমার মল্লিকের দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রত্যেকের মধ্যেই আশা এই বছর পূর্বপল্লীর মাঠেই হবে পৌষ মেলা (Poush Mela 2023)। আশা মতই শুক্রবার বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ কর্ম সমিতির বৈঠকের পর পূর্বপল্লীর মাঠে মেলা করার বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।

প্রকাশ করা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এই বছর তারা পূর্বপল্লীর মাঠেই পৌষ মেলার আয়োজন করবে। তবে পরিবেশ আদালতের নির্দেশ এবং দূষণবিধি মেনে ছোট করে মেলা করা হবে। বিশ্বভারতীর এমন ঘোষণার পর খুশির হাওয়া বইতে শুরু করে শান্তিনিকেতনের আপামর জনতা থেকে শুরু করে বিশ্বভারতীর পড়ুয়া, প্রাক্তন সবার মধ্যে। কেননা ২০১৯ সালের পর কেটে গিয়েছে তিন বছর। ঐতিহ্যবাহী পৌষ মেলা দেখতে পাওয়া যায়নি।

তবে এই ঘোষণার ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই নতুন করে সংশয় তৈরি হয়েছে মেলা হওয়া নিয়ে। মেলা হওয়া নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে মূলত শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে। তাদের তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে, পূর্ব পল্লীর মাঠে মেলা হওয়া নিয়ে যা ঘটছে তা ‘হাওয়াতে ভাসছে।’ কেন এই বিষয়টি হাওয়াতে ভাসছে তার বিশ্লেষণ করতে গিয়ে ৫টি কারণের কথা জানিয়েছে শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট।

১) মেলা করার বিষয়ে এখনও পর্যন্ত বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে লিখিত কোন কিছু পাওয়া যায়নি, দাবি করছেন শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট। পৌষ মেলার আয়োজনের ক্ষেত্রে শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের বড় ভূমিকা থাকে। সেক্ষেত্রে তাদের থেকে এমন উত্তর মানে তা খুবই চিন্তার কারণ।

২) বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ছোট করে মেলা করার কথা ঘোষণা করলেও শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট ছোট করে মেলা করার পক্ষে নয়। কারণ হিসাবে শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট যা দাবি করছে তাহলো, ছোট করে মেলা করলে কাকে বাদ দেওয়া হবে অথবা কাকে বসানো হবে, সেই সিদ্ধান্ত কে নেবে?

৩) ছোট করে মেলা করা হলে মেলার যে খরচ বহন করা হয় সেই খরচ উঠবে না। এমনটাই দাবি করছে শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট। কেননা মেলার খরচ থেকে শুরু করে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করে থাকে শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট।

৪) শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট পরিকাঠামো গত বেশ কিছু উন্নয়নের জন্য লিখিত আকারে বিশ্বভারতীকে একাধিক বিষয়ে সংস্কারের তালিকা দিয়েছিল। কিন্তু তাদের তরফ থেকে দাবী করা হচ্ছে তার কোন উত্তর এখনো মেলেনি।

৫) অন্যান্য বছর মেলার আয়োজনের ক্ষেত্রে ডিসেম্বর মাসের আগেই মোটামুটি ভাবে স্টল বুকিংয়ের কাজ হয়ে যায়। কিন্তু এখনো পর্যন্ত অনলাইনে স্টল বুকিংয়ের জন্য যে পরিকাঠামোর প্রয়োজন তাও নিষ্ক্রিয় হয়ে রয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের তরফ থেকে। এছাড়াও অন্যান্য দিক দিয়েও হাতে সময় নেই বলেও দাবি করছে শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট।