কপাল খুলতে চলেছে উত্তরবঙ্গের! এই তিন জেলায় ৬০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ, বড় সুখবর দিল রাজ্য

নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যে লগ্নি টানার জন্য সরকারের (West Bengal Government) তরফ থেকে বারংবার বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে বিরোধীরা যখন বারবার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারকে শিল্পবিরোধী তকমা দিয়ে আসছে সেই সময়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় কখনো ছুটে যাচ্ছেন বিদেশ আবার কখনো আয়োজন করা হচ্ছে বিজনেস সামিটের। এসবের মধ্য দিয়ে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে মূলত শিল্পমুখী মনোভাব তুলে ধরা হচ্ছে।

রাজ্যে বিনিয়োগের জন্য যখন রাজ্য সরকারের তরফ থেকে একের পর এক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে ঠিক সেই সময় যে তথ্য উঠে এলো তাতে আগামী সময়ে অন্ততপক্ষে ৬০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ হতে চলেছে উত্তরবঙ্গে। উত্তরবঙ্গে এই বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ এলাকার পর্যটন শিল্পকে অনেক বেশি উন্নত করবে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। এছাড়াও যে বিনিয়োগের আশা দেখা দিয়েছে তার ফলে কর্মসংস্থান সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষরাও অনেক সুযোগ পাবেন।

মূলত গত বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ির কাওয়াখালী এবং মাল্লাগুড়িতে দুটি বাণিজ্য সম্মেলন হয়। যে দুটি বাণিজ্য সম্মেলন থেকেই এমন বিনিয়োগের বিষয়ে আশার আলো দেখা হচ্ছে। এই দুটি বাণিজ্য সম্মেলন থেকে অন্ততপক্ষে সাতটি বিনিয়োগের ছবি সামনে এসেছে এবং সেই সমস্ত বিনিয়োগ একত্রিত করলে টাকার অংক দাঁড়াবে প্রায় ৬০০ কোটি টাকা। মূলত পর্যটন হাব হিসাবে শিলিগুড়ির সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

আরও পড়ুন 👉 উত্তরবঙ্গের কপালে ২৪ হাজার কোটি টাকা! কপাল খুলতে চলেছে এইসব জেলার

করোনার সময় থেকে অন্ততপক্ষে দেড় বছর পরিকাঠামোয় বিনিয়োগ বন্ধ ছিল। তবে ২০২২ সাল থেকে পুনরায় সেই বিনিয়োগ শুরু হয়। উত্তরবঙ্গে প্রায় ৬০০ কোটি টাকার বিনিয়োগের যে ছবি সামনে আসছে তার অধিকাংশ বিনিয়োগ দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলার ক্ষেত্রেই উঠে আসছে। প্রশাসনিক সূত্রে যা জানা যাচ্ছে তাতে আগামী তিন বছরের মধ্যে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করে পরিকাঠামোই ব্যাপক বদল আসার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

দার্জিলিং, কালিম্পং ছাড়াও কপাল খুলতে চলেছে শিলিগুড়ির। কেননা শিলিগুড়িতে দুটি বড় বড় হোটেল শিল্পের কর্পোরেট সংস্থা বিনিয়োগ করতে চলেছে বলে জানা যাচ্ছে সূত্র মারফৎ। তাদের এই বিনিয়োগের ফলে শিলিগুড়িতে একাধিক তারাখচিত হোটেল, রিসোর্ট ইত্যাদি তৈরি করতে পারে। আর এই যে সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে তার ফলে যখন প্রকল্প ঘোষিত হয়ে যাবে তখন এই বিনিয়োগের পরিমাণ এক হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।