শতাব্দী ছন্দে ফিরলেও তাল কাটাচ্ছেন আরও তিন তৃণমূল জনপ্রতিনিধি

নিজস্ব প্রতিবেদন : তাল কাটিয়েও ছন্দে ফিরেছেন বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দি রায়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে ম্যারাথন বৈঠকের পর তিনি ছন্দে ফেরেন। তবে এরই মাঝে তাল কাটাচ্ছেন আরও তিন তৃণমূল জনপ্রতিনিধি। যাদের মধ্যে প্রথমেই রয়েছেন রাজ্যের বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল।

তৃণমূল ত্যাগের জল্পনার মাঝেই শনিবার ফেসবুক লাইভে আসছেন রাজ্যের বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন দুপুর তিনটের সময় তিনি ফেসবুক লাইভে আসবেন। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, এদিন তিনি সাধারণ মানুষের সাথে আলাপ চারিতা করবেন এবং মানুষের মন বোঝার চেষ্টা করবেন। সাধারণ মানুষের প্রশ্নের উত্তরে তিনি দিতে পারেন বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি এই ফেসবুক লাইভে তার পুনরায় দলের বিরুদ্ধে মুখ খোলার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

অন্যদিকে তৃণমূল সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম আজ তক-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, দলের কোনো পরিবর্তন অথবা কর্মসূচিতে তাকে কিছু বলাই হয় না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক আছেন কিন্তু দলের অন্যান্য শীর্ষ নেতাদের এই বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা প্রয়োজন আছে বলে তিনি মনে করছেন।

তিনি হতাশ হয়ে জানিয়েছেন, “হাওড়াতে তৃণমূলের টিম ভেঙে যাচ্ছে। যেই সভাপতি হোক সকলকে নিয়ে চলা উচিত বলে তিনি তার মত পোষণ করেছেন।” তবে তিনি বিজেপিতে যাওয়ার সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিয়ে জানিয়েছেন, “সৌমিত্র খাঁয়ের সাথে আমার কোন দিন কথা হয় নি। আমি বিজেপিতে যাচ্ছি না। আমি লক্ষ্মীরতন শুক্লাকে অনুরোধ করবো ফের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার এবং ভোটে জেতার পর দুজনে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে গিয়ে সমস্যার কথা খুলে বলবো।”

অন্যদিকে একই ভাবে বেসুরো হতে দেখা গিয়েছে উত্তরকন্যা-র তৃণমূল বিধায়ক প্ৰবীর ঘোষালকে। তিনি তো রীতিমতো সাংবাদিকদের সামনে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দলের সংগঠনের একাধিক রদবদল নিয়ে। তার প্রশ্ন, দলের এত রদবদল আদৌ কতটা কাজে এসেছে।