করোনা আবহেই ত্রাণ বিলিকে কেন্দ্র করে তৃণমূল বিজেপি সংঘর্ষ বীরভূমে

চন্দন কর্মকার : করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে যখন গোটা বিশ্ব মুক্তির পথ খুঁজছে ঠিক তখনও বীরভূম রয়েছে বীরভূমেই। যেখানে এখনও বজায় রয়েছে রাজনৈতিক বাদানুবাদ, বজায় রয়েছে রাজনৈতিক সংঘর্ষ। করোনাভাইরাস যখন বদলে দিয়েছে গোটা বিশ্বের গতিপ্রকৃতি তখনও বীরভূমের পরিস্থিতিকে বদলাতে পারলো না বলে মত বিশিষ্টজনেদের।

রবিবার রাতে বীরভূমের আহমেদপুর এলাকার সাংরা গ্রাম ত্রাণ বিলিকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। তৃণমূল ও বিজেপি দুই রাজনৈতিক দল সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত হয় তিনজন। পাশাপাশি এলাকায় বেশ কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। এলাকায় বাড়ি বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় এক পক্ষ অপর পক্ষকে দায়ী করেছে। আহত তিনজন তৃণমূল কর্মী বলে জানা গিয়েছে। যাদের বোলপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে চিকিৎসার জন্য।

তৃণমূল সমর্থকদের দাবি, “আমরা সাংরা গ্রামে জিনিসপত্র কিনতে এলে বিজেপির সর্মথকরা আমাদের বাধা দেয়। বলে এই গ্রামে তাদের আসা যাবেনা। তখন আমরা জানাই এই গ্রামে না এলে আমরা কিভাবে জিনিসপত্র কিনবো। আর গ্রামের রাস্তা সরকারি, যে কেউ আসা-যাওয়া করতে পারে।”

অন্যদিকে আরও এক তৃণমূল সমর্থক জানান, “আমরা ত্রাণ বিলির জন্য যখন আলাপ আলোচনা করছিলাম তখন বিজেপির সর্মথকরা আমাদের উপর চড়াও হয়। তারপর আমাদের ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে, আমাদের কর্মীদের মারধর করে। ঘটনাই আমাদের তিনজন তৃণমূল কর্মী আহত হয়েছে।”

অন্যদিকে বিজেপি সমর্থকদের অভিযোগ, “বিজেপি কর্মীরা যখন গ্রামের দুঃস্থ দরিদ্রদের চালডাল বিলি করতে যায় তখন তৃণমূলের কর্মীরা বাধা দেয়। তারপর দুই পক্ষের মধ্যে বাদানুবাদ শুরু হলে তা সংঘর্ষের আকার নেয়। তৃণমূলের লোকজন বাইরে থেকে লোক এনে আমাদের বাড়ি ভাঙচুর করে।”

পরিস্থিতি আয়ত্তের বাইরে চলে গেলে সাঁইথিয়া থানার ও আহমেদপুর ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। আবার যেন কোন রকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য গ্রামে বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে পাশাপাশি ঘনঘন চলছে পুলিশের টহলদারি।