মমতার মামার বাড়িতে গো-হারা তৃণমূল! নামমাত্র কাটলো দাগ

নিজস্ব প্রতিবেদন : ১০ বছর পর এবার পশ্চিমবঙ্গে অধিকাংশ জায়গাতেই ভোটাররা পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Vote) দিতে বুথমুখী হয়েছেন। এর আগে ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত ভোটে অধিকাংশ জায়গায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছিল তৃণমূল। বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, তৃণমূলের উন্নয়ন বাহিনী দাঁড়িয়ে থেকে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে দেয়নি।

দেখতে দেখতে পাঁচ বছর কেটে যাওয়ার পর ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনেও একই ধরনের অভিযোগ রয়েছে বিরোধীদের। তবে সেই সকল অভিযোগের মধ্যেই বহু জায়গায় তৃণমূল বিরোধীদলগুলি প্রার্থী দিতে সক্ষম হয়। প্রার্থী দেওয়ার পাশাপাশি মঙ্গলবার ফলাফল বের হতেই দেখা যায়, অনেক জায়গাতেই বিরোধীরা জয়লাভ করেছে, যেগুলি তাদের কল্পনারও বাইরে।

ঠিক সেই রকমই এবার অনুব্রতহীন (Anubrata Mondal) বীরভূমে একাধিক জায়গা হাতছাড়া হয়েছে শাসকদলের। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Bandopadhyay) মামার বাড়ি এলাকাতে শাসক দল তৃণমূলকে গো হারা হারতে হলো। এমনকি এই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় নামমাত্র দাগ ফোটালো তৃণমূল।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মামার বাড়ি রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত কুসুম্বা গ্রাম পঞ্চায়েতে। তার মামার বাড়ির এলাকায় তিনটি আসনের মধ্যে দুটি আসনেই জয়লাভ করেছে বিজেপি আর মাত্র একটি আসনে জয়লাভ করেছে তৃণমূল। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মামার বাড়ির সদস্যরা যেখানে ভোট দেন সেই বুথেও জয়লাভ করেছে বিজেপি।

কুসুম্বা গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩১ নম্বর সংসদে ভোট দিয়ে থাকেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মামা অনিল মুখোপাধ্যায়ের পরিবার। এই পঞ্চায়েত এলাকায় জয়ী হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী অর্চনা হাজরা। পরাজিত হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী সাথী লেট। ৩২ নম্বর সংসদে জয়লাভ করেছেন বিজেপি প্রার্থী গঙ্গাধর হাজরা। তার কাছে পরাজিত হয়েছেন তৃণমূলের গৌতম লেট। কেবলমাত্র ২৯ নম্বর সংসদে জয়লাভ করেছেন তৃণমূল প্রার্থী আদিত্য দত্ত।

যদিও কুসুম্বা পঞ্চায়েত নিজেদের দখলে রাখতে সক্ষম হয়েছে তৃণমূল। এই পঞ্চায়েতে ২১টি আসনের মধ্যে ১১ টি পেয়েছে তৃণমূল এবং ১০ টি পেয়েছে বিজেপি।